টালিউড সিনেমায় নওশাবা

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। এই মুহূর্তে তিনি খুব চিন্তিত। কারণ, যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে টালিউড সিনেমা ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’-এর পোস্টার। এটি হতে যাচ্ছে তার অভিনীত কলকাতার প্রথম সিনেমা।
তিনি বলেন, আমার ভীষণ টেনশন হচ্ছে। পরীক্ষার আগের রাতে যেমন হয়। কাজটা শেষ করে সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম। এখন সবাই জেনে গেছে। প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে সকলের। ভালো করার চাপ বেড়ে গেছে। আমি কি পারব?
অনীক দত্ত পরিচালক হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন। তার পরিচালনায় কাজ করবেন নওশাবা। সঙ্গে থাকবেন আবীর চট্টোপাধ্যায়। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুটিং শুরু হবে। দার্জিলিং ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলবে দৃশ্য ধারণের কাজ। নওশাবা বলেন, টানা এক মাস শুটিং চলবে। তারপর কিছুদিনের বিরতি দিয়ে ফের কাজ শুরু হবে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে। আগামী বছর পূজায় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা।
ছবিটির সাথে নওশাবার জড়িয়ে যাওয়ার গল্পটা মজার। এতে ভূমিকা আছে তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের। তিনি বলেন, একবার আমার পোস্টে মন্তব্য করলেন অনীক দত্ত। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। রোজার মাসে তিনি আমাকে টেক্সট করলেন। বাবাকে নিয়ে জানতে চাইলেন। কথাবার্তায় বুঝলাম তিনিই আসল ব্যক্তি। এর মাঝে একদিন তিনি ছবিটির কথা জানান। আমাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য ভাবছেন জানালেন। আমার কাজের ভিডিও দেখতে চাইলেন। আমি পাঠালাম। তিনি পছন্দ করলেন। এরপর চিত্রনাট্য পেলাম। আমার চরিত্রের অংশটুকুর অভিনয় রেকর্ড করে তাকে পাঠালাম। এভাবেই মূলত জড়িয়ে গেলাম এ ছবির সাথে।
নওশাবা যোগ করলেন, বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
সিনেমার বাইরেও নওশাবা আলোচনায় ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’ নিয়ে। ইয়াসির আল হক পরিচালিত এ সিরিজ নিয়ে বলেন, এটি একটি ম্যাচিউর ও স্মার্ট প্রোডাকশন। আমাদের দেশের মানুষ এমন কনটেন্ট আগে দেখেনি। এমন প্রজেক্টে কাজ করে খুবই ভালো লাগছে।
তিনি আরো বলেন, দর্শকদের পাশাপাশি ওটিটির বিশেষজ্ঞদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধন্যবাদ পেয়েছি। যা আমার জন্য বড় পাওয়া।
নওশাবা কম কাজ করেন। তাতেই পান দর্শকের প্রশংসা। সবশেষে নওশাবা তার অন্যান্য ব্যস্ততার কথা জানান, বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ করছি। মার্কস, গ্রামীণফোন ও অনন্যা সেনিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনচিত্র প্রচার হচ্ছে। সম্প্রতি করেছি প্রাণের একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। এ ছাড়া মঞ্চের কাজ করছি। মঞ্চে কাজ করলে আত্মা শুদ্ধ হয়ে যায়। সিনেমার শুটিং থেকে ফিরে ফের মঞ্চের কাজ করবো।