মানিকছড়ি উপজেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকছড়ি :
পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতিয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের উন্নয়ন, সুশাসন, আর্থ-সামাজিক মুক্তি আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় পার্টির রয়েছে গৌরবোজ্জল ইতিহাস। অনেকে ভেবে ছিলেন পল্লীবন্ধুর মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির দুর্বল হয়ে পড়বে কিন্তু না কোটি মানুষের ভালোবাসায় জাতীয় পার্টি আজ আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হয়েছে। মানিকছড়িতে উপজেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল-২০২১” এ সাবেক খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির বর্তমান আহবায়ক মনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা এ সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এরশাদ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন চাকরিতে কোনো ঘুষ বাণিজ্য ছিল না। কিন্তু বর্তমানে চাকরি নিতে হলে ঘুষ দিতে হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত মেধাবীরা। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলে আবার ঘুষ ছাড়া চাকরী হবে এ দেশের হাজারো মেধাবী বেকার যুবদের। তাই জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে ও দলকে আরো শক্তিশালী করতে প্রতিটি ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করতে হবে। অতীতে কোনো দল জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে যেমন ক্ষমতায় আসতে পারেনি আগামীতেও পারবে না।
১৩ মার্চ দুপুরে মানিকছড়ি উপজেলা স্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মো. সোলায়মান আলম (রাজ) এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও মানিকছড়ি উপজেলা সভাপতি প্রকৌশলী কেশব লাল দে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির প্রধান উপদেষ্টা শাহাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা আবুল হোসেন, জেলা মহিলা উপদেষ্টা শ্রাবণী চাকমা, মানিকছড়ি উপজেলা সিনিয়র সভাপতি ঞোমং মারমা (নিউমং) প্রমুখ। এছাড়াও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক মো. আমিনুল হক, যুগ্ন-সচিব আবুল কাশেম, মো. জিল্লুর রহমান, মহিলা সভানেত্রী শর্বরী রাণী দে, সম্পাদিকা ফুলবানু আক্তারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড-ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে সভাপতি পদে পুনরায় প্রকৌশলী বাবু কেশব লাল দে, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জুলহাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আবু তাহের’র নাম ঘোষণা করলে উপস্থিত সকলে তা সমর্থন জানান। একই সময়ে উপজেলা মহিলা পার্টির কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে রোকেয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক পদে শান্তা দে ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রতœা দে’র নাম ঘোষণা করা হয়।