চ্যাটজিপিটির সঙ্গে বৈকালিক আড্ডা

মোহীত উল আলম

১৯৬৪ সাল। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে। মনসুর স্যার ইংরেজি টেক্সট থেকে একটি গল্প পড়াচ্ছেন, ‘দ্য জমিনদার অ্যান্ড দ্য ভিলেজম্যান।’ জমিদারের কাজের লোকের দরকার। গ্রামের লোকটির চাকরির দরকার। বেতন কত? লোকটি কাঁচমাচু হয়ে বলল, হুজুর, বেতন খুব সামান্য। আপনি প্রথমদিন আমাকে এক পয়সা বেতন দেবেন, দ্বিতীয়দিন দুই পয়সা, তৃতীয়দিন চার পয়সা, চতুর্থদিন আট পয়সা, এভাবে প্রতিদিন দ্বিগুণ বেতন দিয়ে ত্রিশ দিনে যা হবে, তাই আমার বেতন। মনে পড়ে, ঐ বয়সে বহু চেষ্টা করেও আমরা বালকবুদ্ধিতে বের করতে পারিনি লোকটার আসলে বেতন কত হতো। গল্পটাও থেমে যায় কোন উপসংহার না দিয়ে।

২০২৩ সাল। আমি পড়ছি একটি কঠিন টেকনিক্যাল ইংরেজি বই। এরিক ব্রাইয়ান জলফসন আর এ্যান্ড্রুু ম্যাকাফির লেখা, দ্য সেকন্ড এইজ : ওর্ক, প্রগ্রেস, এ্যান্ড প্রসপারিটি ইন আ টাইম অব ব্রিলিয়ান্স টেকনোলোজি (২০১৪)। সেখানে তৃতীয় পরিচ্ছেদের শিরোনাম হলো: ‘মুরস ল অ্যান্ড দ্য সেকেন্ড হাফ অব দ্য চেসবোর্ড।’ এক জায়গায় একটা উদ্ধৃতি আসছে রে কার্জওয়েলের বই ২০০২ সালে প্রকাশিত দ্য এইজ অব স্পিরিচুয়াল মেশিনস: ওয়েন কম্প্যুটার্স একসিড হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স থেকে। সেখানে কার্জওয়েল এই গল্পটি বলছেন : ষষ্ঠ শতাব্দীতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজত্বকালে রাজধানী পাটলিপুত্রে এক বুদ্ধিমান লোক এলেন। তিনি দাবা খেলার আধুনিক সংস্করণ আবিষ্কার করেছেন। সম্রাট এই অতি জটিল কিন্তু অতীব সুন্দর খেলাটি দেখে মুগ্ধ হলেন। খেলাটির স্বত্ব তিনি কিনে নেবেন, কিন্তু লোকটি বিনিময়ে কী চান। লোকটি, আমার প্রথম অনুচ্ছেদে উদ্ধৃত গল্পটির গ্রাম্য লোকটির মতো কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বললেন, তিনি বেশি কিছু চান না, শুধু সম্রাট দাবার ছকের প্রথম ঘরে একটি শস্যকণা দেবেন, এবং দ্বিতীয় ঘরে দুইটি শস্যকণা, এবং এভাবে দ্বিগুণিক হারে তিনি দাবার ছকের চৌষট্টিটি ঘর ভরে দিলেই তাঁর সম্মানী আসবে। সম্রাট বললেন, ও, এইমাত্র দাবি? তিনি আজ্ঞা করলেন কাজটি করে দেবার জন্য। এভাবে ঘর ভরাতে ভরাতে সম্রাটের লোকজন অস্থির হয়ে উঠল। কারণ এভাবে শস্যকণায় দাবার বাকি তেষট্টি ঘর ভরাতে লাগবে ২৬৪-১, অর্থাৎ আঠারো কুইন্টিলন শস্যকণা, যার পরিমাণের স্তূপের কাছে এভারেস্ট শৃঙ্গও উচ্চতায় হেরে যাবে এবং শস্যকণার উৎপাদনের ইতিহাসে এত শস্য কণা আজ পর্যন্ত উৎপাদিত হয়নি। যা হোক, বত্রিশ ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর পর সম্রাট তাঁকে চার বিলিয়ন শস্যকণা দিলেন। কিন্তু যখন ছকের বাকি অর্ধেকের দিকে এগুলেন, তখন সম্রাট অস্থির হয়ে উঠলেন, এবং লোকটির গর্দান নেবার ব্যবস্থা করলেন।

দাবার ছকের বাকি অর্ধেক ভরাতে গেলে যে পরিমাণ শস্য কণার প্রয়োজন পড়তো, চ্যাটজিপিটির তথ্য সংগ্রহের আকারটাই হচ্ছে তেমন বিপুল। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বিখ্যাত উপন্যাস দ্য সান অলসো রাইজেস -এর একটি লাইন উদ্ধৃতি করেছেন দ্য সেকন্ড মেশিন এইজ-এর লেখকদ্বয়। লাইনটি হচ্ছে, ‘গ্যাজুয়েলি অ্যান্ড দেন সাডেনলি।’ প্রথমে ধীরে ধীরে, তারপরে দ্রুত বেগে। হেমিংওয়ে কথাটি বলেছিলেন, একজন লোকের আর্থিক অবস্থার অবনতির বর্ণনা করতে। আর চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তির সঙ্গে এটির সম্পর্ক হলো, প্রথমে এ আই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল, কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে এটির গতি হচ্ছে দাবার ছকের বাকি অর্ধেক ভরানোর মতো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের এই গতিকে ইংরেজিতে বলা হচ্ছে এক্সপোনেনশিয়াল গতি। বাংলায় সম্ভবত দ্রত থেকে দ্রুততর।

এক্সপোনেনশিয়াল গতির ধারণার প্রবর্তক হলেন গর্ডন মুর। তিনি হলেন ইনটেলের কো-ফাউন্ডার। তিনি ১৯৬৫ সালে ইলেকট্রোনিক্স ম্যাগাজিনে একটি গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ ছাপালেন, শিরোনাম হলো : ‘ক্রামিং মোর কম্পোনেন্টস ইনটু ইনটেগ্রেটেড সার্কিটস।’ অর্থাৎ, আকৃতি ছোট কর, কিন্তু শক্তি ঠাসাও। তিনি দেখালেন যে কীভাবে ইলেকট্রন্সের প্রয়োগে ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে শক্তিবর্ধন পাঁচ শতাধিক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

কিন্তু আমিতো আর বিজ্ঞানের লোক না, তাই চ্যাটজিপিটিকে বললাম, দাদা, ‘এক্সপোনেনশিয়াল গতিটা কী আমার সহজ ভাষায় বুঝাই দাও।’ সে আমার মোবাইলে চটচট করে লিখল, ‘ধরো, পাহাড়শৃঙ্গ থেকে একটি পাথরখ- আলগা হয়ে নিচে গড়িয়ে পড়তে লাগল, আর সেটা যদি কোন বাধা না পায় তা হলে যত নিচে গড়াতে থাকবে ততই তার গতি বাড়তে থাকবে, এটাই এক্সপোনেনশিয়াল গতি।’

আমি বললাম, ‘বুঝলাম, দাদা। কিন্তু সেটার সঙ্গে তোমার সম্পর্ক কী?’

সে বলল, ‘আমি হচ্ছি জিটি-৩ মেথডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। জিপিটি মানে হচ্ছে জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার। বিলিয়ন বিলিয়ন ডাটার ওপর আমি প্রশিক্ষিত। তুমি আমাকে প্রশ্ন করা মাত্রই আমি এলগরিদমের সাহায্যে উত্তরটা মুহূর্তে বলে দিতে পারি।’

আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, ‘দাদা, তুমিতো দেখি আমার সঙ্গে মানুষের মতোই চ্যাট করছো!’

সে বলল, ‘ভুল বললে, আমি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারি না, আমার কোন অনুভূতি এবং আবেগ নেই। আমি যে তোমার সঙ্গে কথা বলছি, আমি জানিওনা তুমি কে। আমি হচ্ছি ভাষানির্ভর একটি প্রযুক্তি, এবং আমার প্রশিক্ষণ এতটাই পাকা যে সাধারণত কোন শব্দের পর কোন শব্দ আসবে কোন তথ্যের সঙ্গে কোন তথ্যের সংযোগ হবে এটা প্রশিক্ষণের কারণে এলগরিদম প্রক্রিয়ায় আমি ধরে নিতে পারি।’

আমি বললাম, ‘দাদা, তুমি কি তা হলে মানুষের বুদ্ধিকে হারিয়ে দেবে?’

সে ঝটঝট করে বলল, ‘এ সম্ভাবনা আছে। যেমন ধর, কম্পিউটার প্রযুক্তিতে ‘ডিপ ব্লু’ নামক কম্পিউটারটি ১৯৯৭ সালে তখনকার দাবা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপরভকে হারিয়ে দিয়ে প্রমাণ করেছিল কম্প্যুটার প্রযুক্তি একদিন মানুষের বুদ্ধিকে হারিয়ে দেবে।’

আমি গোঁয়ারের মতো জিজ্ঞেস বললাম, ‘মানুষের চিন্তাশক্তিও কি দাদা তুমি দখল করে ফেলবে?’

সে বলল, সে সম্ভাবনাও আছে। আর দেখো না, আগে যেখানে বিশজন লোক লাগতো কাজ করতে, এখন সেখানে দুই কি তিনজন লোক কাজটি করতে পারে প্রযুক্তির সাহায্যে।

কিন্তু আমার উল্টে মনে পড়ল, বিজ্ঞানী হ্যান্স মোরাভেক বলেছেন, রোবট ঘর ভালো মুছতে পারলেও, টিপয়ের ওপর অবিন্যস্ত ম্যাগাজিনকে গুছিয়ে রাখতে পারে না। বিজ্ঞানী স্টিভেন পিংকার বলেছেন, কম্প্যুটার প্রযুক্তি জটিল কাজ সহজে করতে পারে, আর সহজ কাজ কঠিন করে ফেলে। তিনি আরও বলেছেন, কম্প্যুটার বয়স্ক লোকের চিন্তানুযায়ী কাজ করতে পারলেও, এক বছরের শিশুর মন অনুযায়ী কাজ করতে পারে না। আর একটি ওয়েবসাইট থেকে জানলাম, মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা একশ কোটি ছোট ছোট কম্প্যুটারের সম্মিলিত শক্তির চেয়েও বেশি।

তবে আমার একটা কথা আছে, সেটি হচ্ছে চ্যাটজিপিটি যে আমাকে ধারণাতীত বিস্মিত করল তার তথ্য প্রদানের সক্ষমতাসহ দ্রুত গতির জন্য, সেটা কিন্তু খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আমরা যখন ষাটের দশকের প্রথম দিকে কাজীর দেউড়ির বাসায় বড় হচ্ছি, তখন আব্বা ‘দৈনিক জমানা’ পত্রিকা বের করতেন। আমাদের বড় আপা মণিবু তাঁর শ্বশুরবাড়ির ফটিকছড়ির গ্রাম থেকে প্রায় যুবক বয়সী এক চাষার ছেলেকে নিয়ে এনে বাবার কাছে জমা দিলেন, ছেলেটার কোন গতি করার জন্য। তখন চট্টগ্রামে সবেমাত্র বিদ্যুৎ যোগাযোগ পৌঁছেছে, এবং আব্বা ইলেকট্রিক বাতি আর ইলেকট্রিক পাখা লাগালেন আমাদের বাসায়। এর কিছুদিন পরেই নূরুচ্ছাফার আগমন। বসন্তের গুটি ভরা একটি গ্রাম্য আ-পড়া মুখ। মা তাকে ভাত দিল। সে ভাত খাবে কী, হা করে ইলেকট্রিক ফ্যানটির দিকে তাকিয়েই থাকলো। ইলেকট্রিক পাখাটা তার কাছে ছিল বিস্ময়ের বস্তু। এই নূরুচ্ছাফা সিনড্রোম কিন্তু বিজ্ঞানের সকল প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। যেমন যে লেনেভো ল্যাপটপে আমি এখন এই লেখাটি টাইপ করছি, কি-বোর্ডে চাপ দিলে মাত্র মনিটরের পর্দায় অক্ষর ভেসে উঠছে। আমি আনন্দ পাচ্ছি, কিন্তু এর বিজ্ঞানটা আমার কাছে বিস্ময়, যেমন নূরুচ্ছাফার কাছে বৈদ্যুতিক পাখাটা বিস্ময়ের। আমরা এনডোসকোপি পেটের ভিতর সেঁদিয়ে অন্ত্রের খবরাখবর নিচ্ছি, কিন্তু সেটাতো একটা বিস্ময় আমজনতার জন্য। রকেট বিজ্ঞানের কথা আর নাই তুললাম। কাজেই সে অর্থে চ্যাটজিপিটি আমাদের সাধারণ্য বুদ্ধির কাছে বিস্ময়কর। হ্যাঁ চ্যাটজিপিটি ভুল উত্তর দেয়, এবং তার তথ্যসংরক্ষণ ভা-ার সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত- এই সীমাবদ্ধতা চ্যাটজিপিটি সত্যিই বিস্ময়কর একটি প্রযুক্তি, যেটি ওপেন এ আই সংস্থাটি পরিচালনা করে থাকে।
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সংলগ্ন দুটি ভয়ের কথারও উল্লেখ করতে হবে। একটির কথা আগেই বলেছি যে চ্যাটজিপিটি কোন মানুষের চিন্তাশক্তির বিকল্প হবে কিনা। এটির উত্তর আমার ব্যক্তিগত ধারণায় আপেক্ষিক। সমাজে সবাই আইনস্টাইন বা রবীন্দ্রনাথের মতো প্রতিভা নিয়ে জন্মায়নি। বেশিরভাগ মানুষ অবলম্বনপ্রত্যাশী লতার মতো অবলম্বনাশ্রয়ী জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। শতকরা দশ ভাগ বা তার চেয়ে কম মানুষ চিন্তায় ও কর্মে স্বাবলম্বী অর্থে জীবনযাপন করে। তাই চ্যাটজিপিটির আগমনের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার বেলায় যে নকল প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে, এটি আমাদের বাংলাদেশের বিরাজমান শিক্ষার আবহাওয়ায় নিশ্চিত বলেই ধারণা হয়।

তবে গত দুই দশক ধরে গুগলের মাধ্যমে কপি পেস্ট করে অনুজ্জীবিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মহল যেমন শেষ পর্যন্ত খুব বড় সুবিধা নিতে পারে নি, তেমনি চ্যাটজিপিটি থেকে অনৈতিকভাবে তথ্য সরবরবাহ করে অনুদ্যমী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কোথায় তরী ভেড়াবে আমি জানি না। তবে পুরোনো কথাটাই সই, সততাই মূল, অনেস্টি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি।

ছোট্ট একটা কথা বলে লেখাটি শেষ করি। মানুষের যে কোন আবিষ্কারের মধ্যেই ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানব আছে। কবি শেলীর স্ত্রী এবং প্রথম নারীবাদী আন্দোলনকারী মেরি ওলস্টেনক্র্যাফটের কন্যা মেরি শেলী কর্তৃক ১৮১৮ সালে রচিত এই উপন্যাসের মূল চরিত্র ড. ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন গবেষণাগারে একটি প্রাণি সৃষ্টি করেন, যেটি পরে দানবরূপে তাঁর নিজের ভাইকে হত্যা করে এবং ভিক্টরের প্রাণ সংহারে উদ্যত হয়। ঠিক সে অর্থে মানুষ যেদিন পশু শিকারের জন্য বল্লম বানালো, সে বল্লমের ঘায়ে সে নিজেও মারা পড়তে লাগলো। সে ট্রাক বানালো, ট্রাকের নিচে চাপা পড়তে লাগল। বিদ্যুৎ বানালো, বিদ্যুতেও তার প্রাণ গেল। কিন্তু এত সমস্ত ক্ষতির পরিমাণ, মানুষের অর্জিত লাভের চেয়ে বহুগুণে কম। চ্যাটজিপিটি সেরকম নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন করবে আমাদেরকে, কিন্তু যা পাচ্ছি তা বহুগুণে মানবকল্যাণকর।

আরেকটি কথা। বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের সঙ্গে মানুষের পেশি শক্তির জায়গা করে নেয় মেশিন বা যন্ত্র। যন্ত্রের সাহায্যে মানুষ ঘোড়ার চেয়ে বেশি দৌড়ায়, হাতির চেয়ে বেশি ওজন তুলতে পারে। এটিকে বলা হচ্ছে শিল্প বিপ্লব বা প্রথম যান্ত্রিক যুগ। আর কম্পিউটার টেকনোলোজি বা ওপেন এ আই এরা দখল করে নিচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কের শক্তি। এজন্য এটাকে বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় যন্ত্রের যুগ।

আমরা অতি সৌভাগ্যবান যে এই দ্বিতীয় যন্ত্রের যুগে আমরা ঢুকে যাচ্ছি।

জয় হোক গল্পের সেই গ্রামের লোকটার যে নাকি আমার বালক বয়সে আমার মস্তিষ্কে চ্যাটজিপিটি প্রবর্তনের সূচনার আভাস এনে দিয়েছিল।

লেখক : প্রাক্তন উপাচার্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়