চমেক হাসপাতাল অচল এমআরআই মেশিন পরিদর্শনে প্রকৌশলীরা

মেরামতে বাড়তি ৩১ লাখ টাকার বেশি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ( চমেক) হাসপাতালে প্রায় দেড় বছর ধরে অচল পড়ে থাকা এমআরআই মেশিনটি পরিদর্শন করলেন প্রকৌশলীরা। মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড’এর পক্ষ থেকে ২ জন প্রকৌশলী এটি পরিদর্শন করে গেছেন। শনিবার দুপুরে তারা এ মেশিন পরিদর্শনে আসেন।

জানা গেছে, চমেক হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগে দুটি এমআরআই মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে একটি ২০১৪ সাল থেকে অকেজো। পরে ২০১৭ সালের আগস্টে নতুন একািট এমআরআই মেশিন স্থাপন করা হয় এ বিভাগে। যার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এটির মেয়াদ ছিল তিন বছর। ২০২০ সালের অক্টোবরে ্এটি অচল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালের মে মাসে আবার সার্ভিসিংয়ের মাধ্যমে মেশিনটি সচল করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড। ওই সময় মেশিনটি সার্ভিসিং বাবদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা বিল করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে মাস না যেতেই ফের অকেজো হয়ে পড়ে মেশিনটি।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ১০ মে থেকে একেবারে অচল হয়ে আছে মেশিনটি। এটি ঠিক করতে বর্তমানে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্ত চুক্তি অনুযায়ী ৬৩ লাখে ঠিক করার কথা। বাড়তি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করায় এখনও মেশিনটি ঠিক করা হয়নি। মেশিনটি সচল থাকাকালীন সময় হাসপাতালে ৪ হাজার টাকা দিয়ে এমআরআই করা যেত। এখন বেসরকারিতে রোগীদের সর্বনি¤œ ৯ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা দেখে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রেডিওলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘১৪ অক্টোবর ২ জন প্রকৌশলী মেশিনটি পরিদর্শন করে যান। আনুমানিক ১২ দিন আগে ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (নিমিউ অ্যান্ড টিসি) এ চিঠি দেয় চমেক হাসপাতাল। চিঠিতে বলা হয়- দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালে এমআরআই মেশিনটি অচল পড়ে রয়েছে। এতে এ এলাকার রোগীরা সরকারিভাবে এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোগীদের সেবা দিতে মেশিনটি দ্রুত ঠিক করা প্রয়োজন। এরই প্রেক্ষিতে নিমিউ এর মাধ্যমে মেরামতের জন্য প্রাক্কলন দিতে বলা হয়েছে। আমরা সরবরাহ প্রতিষ্ঠানকে সেটি দিচ্ছি। কোম্পানির একটি রেট দেওয়ার জন্য মেশিন পরিদর্শনে এসেছেন প্রকৌশলীরা। এই প্রকৌশলীরা একটি রেট দিবে নিমিউতে। সেই রেইটে মিললে দ্রুত কাজ এগুবে।’

হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া পর তৎক্ষণাৎ কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু নিমিউতে চিঠি দেয়ার ১২ দিন পর কোম্পানির দুজন লোক পরিদর্শন করেন। বিষয়টি নিমিউ গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। অচল এমআরআই মেশিন সচল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ।