চমেক হাসপাতালে তিনটি ক্যানুলা মেশিন দিলো চট্টগ্রাম কলেজ এইচএসসি ’৮৫ ব্যাচ

চট্টগাম মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবিরকে চিকিৎসাসামগ্রীর কাগজ হস্তান্তর করছেন ব্যাচ ‘৮৫ এর সদস্যরা

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কভিড আইসিইউতে তিনটি হাইফ্লো নাসাল ক্যানুলা মেশিন প্রদান করেছে চট্টগ্রাম কলেজ এইচএসসি ৮৫ ব্যাচ। এছাড়া একটি ইসিজি মেশিন ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করেছেন তারা।

আমরা আছি কোভিড রোগীর পাশে, নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ৮৫ এর সদস্যরা।

আজ ৮ জুলাই (বুধবার) তারা চমেক হাসপাতালে এসব চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির ও আইসিইউ বিভাগের প্রধান প্রফেসর রনজ্ন কুমার নাথ কাজল এসব চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ করেন।

চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ , সহযোগী অধ্যাপিকা তনুজা তানজিন, সহযোগী অধ্যাপক কাওসারুল মতিন, সহযোগী অধ্যাপিকা জেসমিন আহমদসহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ এ সারওয়ার, সহকারী অধ্যাপক তাজিন সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক সুমন বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক ইয়াকুব হোসেন, অধ্যাপক সুমন মুৎসুদ্দি ও চট্টগ্রাম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক একেএম শামসুদ্দিন আজাদ।

অনুষ্ঠানে আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সাবরিনা ইসলাম সুইটি আমাদের সাথে ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্যবিদ্যালয় ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়ন সমাপন করেন এবং ইংরেজী ভাষাতত্ত্ব ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষিকা হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করে শেষদিন এ বিভাগের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিল। এই করোনা মহামারীতে সে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলার অভাবে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সুইটির মৃত্যুর পর আমরা চট্টগ্রাম কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ৮৫ উদ্যোগ নিলাম চমেক হাসপাতালে কোভিড আইসিইউ তে হাইফ্লো নাসাল ক্যানুলা সরবরাহ করার। বিজ্ঞপ্তি