চমেকের ৩১ ছাত্র বহিষ্কার

ক্লাস খুলছে ২৭ নভেম্বর

চমেকে পুলিশ পাহারা- ( ফাইল ছবি)

নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। সেই সাথে ২৭ নভেম্বর থেকে চমেক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা চমেকের এমবিবিএস ও বিডিএস’র বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা এ সভায় চমেকের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার সভাপতিত্ব করেন।
অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার জানায়, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গত দুই বছরে মারামারিসহ কলেজে শৃঙ্খলাবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইটি তদন্ত প্রতিবেদন হয়। তার ভিত্তিতে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ২৭ নভেম্বর (শনিবার) থেকে চমেক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ৩১ জনের মধ্যে ২৩ জন এমবিবিএস বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ৮ জন ডেন্টাল বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী।
চমেকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আট জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের এইচ এম আসহাব উদ্দিন, সৌরভ ব্যাপারী ও সাদ মোহাম্মদ গালিব, ৬১তম ব্যাচের সাইফ উল্লাহ, ৬০তম ব্যাচের অভিজিৎ দাশ। এছাড়া বিডিএস ৩০তম ব্যাচের সাজেদুল ইসলাম, ৩১তম ব্যাচের জাহেদুল ইসলাম ও ৩০তম ব্যাচের ইমতিয়াজ আলম।
দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় দুজনকে। তারা হলেন এমবিবিএস ৫৯তম ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম ও ৬০তম ব্যাচের অভিজিৎ দাস।
এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ২১ জনকে। তারা হলেন সাজু দাস (এমবিবিএস ৬২তম), রকিব উদ্দিন আহমেদ (৬২তম), জাকির হোসেন (৬২তম), জুলকাফল মুহাম্মদ শোয়েব (৬২তম), ইব্রাহিম খলিল (৬২তম), চমন দাশ (৬২তম), ফারহান রহমান (৬২তম), মাহিন আহমেদ (৬২তম), শেখ ইমাম হাসান (৬২তম), সৌরভ দেবনাথ (৬২তম), মইনুল হোসেন (বিডিএস ৩১তম), আরাফাত ইসলাম (৬২তম), হাবিবুল্লাহ হাবিব (বিডিএস ৩০তম), মো. আনিস (বিডিএস ৩১তম), এহসানুল কবির (বিডিএস ৩১তম), মাহতাব উদ্দিন (বিডিএস ৩১তম), মো. শামীম (৬০তম), মো. সাব্বির (৬০তম), মইন ভূঁইয়া (৬১তম), তৌফিকুর রহমান (৫৮তম) ও আল আমিন ইসলাম (৫৮তম)।
প্রসঙ্গত, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেকের প্রধান ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে পৃথকভাবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৩০ অক্টোবর চমেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।