নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ :
চন্দনাইশ উপজেলায় মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালন উৎসাহিত করতে ৬ খামারিকে ছাগলের ঘর ও ভিটামিনসহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এসব দেওয়া হয়।
গতকাল দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের আয়োজনে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খামারিদের হাতে এই ব্যতিক্রমী ও উৎসাহমূলক প্রকল্পের ঘরসহ বিভিন্ন সংঞ্জাম তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আরিফ উদ্দীন, কৃষি কর্মকর্ত স্মৃতিরানি সরকার, সাংবাদিক মো. নুরুল আলম, শাহাদাত হোসেন, মো. আরফাত হোসেন, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, প্রণব বড়–য়া, সুজন কান্তি রক্ষিত, সেলিম উদ্দীন, খামারি রাজিব দেবনাথ, তৌহিদুল ইসলাম, নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান আবদুর জব্বার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীল জাতিগঠনে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এমনই একটি প্রকল্প। ছাগল পালন একটি লাভজনক পেশা। এটি গরিবের গাভি বলেও পরিচিত। স্বল্পআয়ের মানুষ কিংবা অল্প বিনিয়োগে সক্ষম ব্যক্তিরা অল্প জায়গায় খুব সহজেই ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল আমাদের দেশের নিজস্ব জাত। এই জাতের ছাগলের মাংস সুস্বাদু এবং চামড়া উন্নতমানের হওয়ায় দেশে-বিদেশে সমানভাবে জনপ্রিয়। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল কষ্টসহিষ্ণু, দ্রুতবর্ধনশীল এবং বছরে দুবার বাচ্চা দেয়।
প্রতিবারে এই ছাগল দুই বা ততোধিক বাচ্চা দেয় এবং দ্রুত বাজারজাতকরণের উপযোগী বলে এ জাতের ছাগল পালন লাভজনক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফ উদ্দীন বলেন, মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালনকে উৎসাহিত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের নির্দেশনা অনুসারে ছয়জন প্রান্তিক খামারির মাঝে ছাগলের ঘর, মিল্ক রিপ্লেসার, ভিটামিনসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। ইতোমধ্যে একজন খামারিকে সরকারি ছাগল খামার হতে দুটি পাঁঠা (প্রজননের উদ্দেশ্যে) বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।