আচরণবিধি মানছেন না ‘বেশিরভাগ প্রার্থী’

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে রিটার্নিং কর্মকর্তা

সুপ্রভাত ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আচরণবিধি মানছেন না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের এক রিটার্নিং কর্মকর্তা। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রামের ডিসি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান নয়টি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘উনারা (প্রার্থী) যেসব সমাবেশ বা জনসভা করছেন তার পূর্বানুমতি নেওয়ার কথা রয়েছে। আচরণবিধি অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা আগে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তা জানানোর কথা রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে জানাবেন।
‘প্রার্থীরা যেহেতু আমাদের আগে জানাননি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। প্রার্থীদেরকে আমরা অনুরোধ করেছি, আপনারা আমাদেরকে জানাবেন কখন কোথায় আপনারা জনসভা করবেন। সেক্ষেত্রে আমরা আপনাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করব।’
আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে কী সাজা সেটিও স্মরণ করিয়ে দেন আবুল বাসার। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের জেল অথবা উভয় দণ্ড আরোপের সুযোগ রয়েছে। ‘এর বাইরেও নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য মাঠে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি আছে। নির্বাচন কমিশন আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।’
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১০টির রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবুল বাসার ফখরুজ্জামান। নগরী ও আশেপাশের চার আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ। প্রার্থীদেরকে আশ্বস্ত করার জন্য এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘আশা করি ৭ তারিখে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ আমরা গ্রহণ করেছি। প্রার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের কিছু প্রশ্ন ছিল সেগুলো করেছেন, মতামত দিয়েছেন।’ ‘দুয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাগুলোর বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যখন আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, আমরা তাদেরকে জানিয়েছি প্রত্যেকটি অভিযোগের সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। থানা মামলা নিয়েছে এবং আটক করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’ মতবিনিময়ের সময় চট্টগ্রামের ডিসির সঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহও উপস্থিত ছিলেন। এবারের নির্বাচনে ১৬ আসনের মধ্যে ১৪টিতে আওয়ামী লীগের এবং অপর দুটিতে জাতীয় পার্টি মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। খবর বিডিনিউজ।
এসব আসনে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ভোটে নানা সমীকরণ তৈরি হয়েছে। পটিয়া, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, মিসরসরাই নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।