নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সরকারি বনভূমি এবং মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ১০ টি ড্রেজার মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানে এ সময় সরকারি কাজে বাধা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে দুইজন শ্রমিককে আটক করে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের অধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের মধুশিয়া, খুটাখালী খাল ও মেধা কচ্ছপিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন এবং কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানার নেতৃত্বে বনবিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ টিম।অভিযানে অংশ নেন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া, জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটুসহ কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও চকরিয়া থানার পুলিশের একটি দল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হোসেন বলেন, কিছুদিন ধরে কতিপয় বালু ব্যবসায়ী খুটাখালী ছড়ার মধুরশিয়া গোদার ফাঁড়ি, মেধা কচ্ছপিয়া খাল ও ফুলছড়ি খালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে আসছিলো। এসব বিষয় বিবেচনা করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওইসব এলাকায় বন বিভাগের লোকজনসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে দুইজন ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। বনবিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে খুটাখালীর কতিপয় মহল সরকারি বনভূমি দখল, বালু উত্তোলনসহ সব জবর দখলকাজে জড়িত রয়েছে। অভিযোগ মতে, খুটাখালী মধুশিয়া এলাকায় আনোয়ার মেম্বার, নূর মোহাম্মদ পেটান, সাইফুল ইসলাম, মিন্টু, লিটন, ফারুক, বেলাল, রাশেদ, আবদুশ শুক্কুর, শাহজালালসহ অন্তত ২০ জনের একটি সিন্ডিকেট বালু লুটে জড়িত।এর আগে এসব পয়েন্টে একাধিকবার অভিযান চালানো হলেও তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলন ও অবৈধ দখলবাজি চালিয়ে যায় অভিযুক্ত চক্রের লোকজন।
গ্রাম