হালদার ভাঙন
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :
হালদা নদীর ভাঙনে রাউজানের কাগতিয়া কাসেম নগর্ ে৫০ পরিবারের বসতঘর বিলীন, আরো শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাগতিয়া কাসেম নগর এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের বসতঘর, ফসলি জমি ছিল। কাসেম নগরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদীর করাল গ্রাসে কাসেম নগর এলাকার অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরো শতাধিক পরিবারের বসতঘর, মসজিদ হুমকির মুখে রয়েছে। কাসেমনগর এলাকার মো. বখতেয়ার বলেন, কাসেম নগরের অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ায় বাপ-দাদার ভিটা হারিয়ে কাসেম নগর এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারের বাসিন্দা হাটহাজারী, রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। অসচ্ছল ব্যক্তিরা পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি ও ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছেন। নদীর ভাঙনে বাপ দাদার বসতভিটা হারিয়ে কাসেমনগর এলাকার বাসিন্দা রুস্তম আলী রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হিংগলা শান্তি নগর এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বাসবাস করছেন। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, হালদা নদীর করাল গ্রাসে বিপুল সংখ্যক বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়ে কাসেমনগর এলাকার বাসিন্দারা নি:স্ব হয়ে পড়েছে। নদীর ভাঙনরোধে রাউজান, হাটহাজারী অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫শ ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পাথরের ব্লক বসানো হলেও কাসেমনগরে ব্লক বসানো হয়নি। এলাকাবাসী জানায়, নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন বৃদ্ধি পায়। রাউজানের পশ্চিমগুজরা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রাশেদ বলেন, কাগতিয়া কাসেমনগর এলাকায় হালদা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকদফায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়,বাধ নির্মাণ না করায় দেড় শতাধিক পরিবারের মধ্যে অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, ঘর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরো শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, ঘর বাড়ি, মসজিদ ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।