ওয়ার্নার মার্শে ভর করে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

সুপ্রভাত ডেস্ক »
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণ এক চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সামনে। বাঁচা মরার লড়াইয়ে পা হড়কালেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের খুব কাছে চলে যেত অজিরা। তবে ডেভিড ওয়ার্নার, আর মিচেল মার্শের ব্যাটে দারুণভাবেই সে চ্যালেঞ্জ সামলেছে দলটি। জিতেছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। তাতে শেষ চারে পৌঁছে গেছে দলটি।
উইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে অজিরা। তবে শুরুটা কিছুটা নড়বড়েই হয়েছিল দলটির। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সুবিধা করতে পারেননি আদৌ। ৯ রান করে আকিল হোসেইনের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তবে উইন্ডিজের সুখস্মৃতি কেবল সে পর্যন্তই। এরপর যে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মার্শ আর ওয়ার্নারের ১২৪ রানের জুটি সব আশাই শেষ করে দেয় ক্যারিবীয়দের। গেইলের বলে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে মার্শ যখন ফেরেন শেষমেশ, তখন জয় থেকে দল দাঁড়িয়ে ছিল ১ রানের দূরত্বে। সেটা তুলে নিতে আর কোনো সমস্যাই হয়নি দলটির।
এর আগে টসেও জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফিল্ডিংয়ের। পুরো বিশ্বকাপে ব্যর্থ ক্রিস গেইল দুটো ছক্কায় যখন ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ভিন্ন কিছুর, তখন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের এমন সিদ্ধান্তকে ভুল বলেই মনে হচ্ছিল। তবে অজিরা এরপর ম্যাচে ফিরেছে ভালোভাবেই। প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এরপরই। পরের ওভারে নিকলাস পুরান আর রস্টন চেজও ফিরলেন। দারুণ শুরুর পর ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় অজিরা।
এভিন লুইস আর শিমরন হেটমায়ার মিলে এরপর বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দশ ওভারের আগেই বিদায় নেন লুইস। এর কিছু পরে বিদায় নেন হেটমায়ারও। তারপরই শুরু পোলার্ডের প্রতিরোধের। ডোয়াইন ব্রাভোকে সঙ্গে নিয়ে লড়েছেন কিছুক্ষণ, তার বিদায়ে জুটি বাধেন রাসেলের সঙ্গে। খেলেন ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। তার পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই ইনিংস আর শেষ দিকে রাসেলের ক্যামিওতে স্কোরবোর্ডে ১৫৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় উইন্ডিজ। তবে ওয়ার্নার মার্শের জুটিতে সেটা অনায়াসেই টপকে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এর ফলে আট পয়েন্ট নিয়ে অজিরা চলে এসেছে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে। দক্ষিণ আফ্রিকা দুই পয়েন্ট কম নিয়ে আছে তালিকার তিনে। দিনের শেষ ম্যাচে যদি রান রেটে টপকে যেতে পারে অজিদের, তবেই সেমিফাইনালে খেলতে পারবে প্রোটিয়ারা।