এক বছরে ৩ বার অচল হলো সিটি স্ক্যান মেশিন

চমেক হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেডিওলোজি বিভাগে ২টি সিটি স্ক্যানের মধ্যে একটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বাকি আরেকটি চলতি বছরের ৪ আগস্ট থেকে টানা ২ মাস অচল পড়ে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটি সচল করতে সক্ষম হয়। তবে এক মাস না যেতেই ২৪ অক্টোবর থেকে ফের অচল হয়েছে মেশিনটি। এ নিয়ে চলতি বছরে ৩ বার মেশিনটি অচল হলো। ফলে বাড়তি টাকা খরচ করে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে।

সিটি স্ক্যান অচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেডিওলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মেশিনটি ২৪ অক্টোবর থেকে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে ওইদিনই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৌশলী এসে দেখে গেছেন। তবে বার বার অচল হওয়ার কারণ নিয়ে তারা কিছু বলেন নি। দ্রুত মেশিনটি ঠিক করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা সেবা শুরু হয়। এভাবে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেবা অব্যাহত থাকে। তবে ওই বছরই আগস্ট মাসে পুরোনো সিটি স্ক্যানটি অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর ৪ বছর সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকে হাসপাতালে। পরে ২০১৮ সালে নতুন একটি সিটি স্ক্যান বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও এক বছর পর ১৯ সালের দিকে নতুন মেশিনের সেবা চালু হয়। এভাবে চলছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। মাঝে কয়েকবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এসে ঠিক করে দেয়। সর্বশেষ চলতি মাসের ৬ জুন মেশিনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২৩ জুন মেশিনটি সচল হয়। কিন্ত কয়েকদিন না যেতে ৪ আগস্ট তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টানা ২ মাস চালু থাকার পর ৩০ সেপ্টেম্বর সচল হয়। কিন্ত এবার এক মাস না যেতেই ২৪ অক্টোবর থেকে ফের সেবা বন্ধ রয়েছে।

সিটি স্ক্যান সচল থাকতে প্রতিদিন ৫০ জনের পরীক্ষা করানো যেত। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলত এই সেবা। পরীক্ষা ভেদে সিটি স্ক্যান বাবদ চমেক হাসপাতালে ফি ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। কিন্তু চমেক হাসপাতালের ২ হাজার টাকার এই ফি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা।