সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম
রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া :
দেশব্যাপী সবুজায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে উত্তরণের জন্য সরকার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশের প্রতিটি বনবিটে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক বনায়নের গাছপালা লুটপাট ও পতিত জমি হস্তান্তর করার কারণে উন্নয়নমুখী এ প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার আশংকা করছে পরিবেশবাদী সচেতনমহল। সরেজমিন এ উপজেলার বনসমৃদ্ধ জনপদ রাজাপালং ইউনিয়নের দোছরী বিট এলাকায় অবস্থিত ২০১৫/২০১৬ অর্থ বছরে সৃজিত সামাজিক বনায়ন প্রকল্প ঘুরে স্থানীয় সুফলভোগী জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভূমিহীন নিঃস্ব ৭০টি পরিবারকে এক একর করে ২৮ হেক্টর একটি বাফারজোন বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই বাগানের সুফলভোগী রেনু আরা বেগম ও আসমাউল হুসনা জানায়, তারা বাগানটি রক্ষা করার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একটি চৌকিদার নিয়োগ দিয়েছেন। ২০১৬ সালে দলিল হস্তান্তরের পর থেকে তারা বাগানের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষন করে আসছিল। ইতিমধ্যে স্থাানীয় শাহজাহানের ছেলে ওসমান গণি, মৃত আলী আকবরের ছেলে জাফর আলম, খুরশেদ আলম, ফরিদ আলম ও জহির আলমসহ ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট বাগানের মাঝখান দিয়ে রাস্তা করে সামাজিক বনায়নের জমি হস্তান্তরের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি তারা বাগানের বেশ কিছু গাছপালা কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদস্য সচিব খাইরুল বশর জানান, বাগানটি দূর্গম এলাকায় হওয়ায় ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে ওই বাগানটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি বাগানের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন পূর্বক মোটা অংকের টাকায় জমি হস্তান্তর করছে। দোছরী বনবিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হাওলাদার জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন এলাকার ছিন্নমূল পরিবারগুলো এখানে এসে মোটা অংকের টাকায় জমি ক্রয় করছে। যে কারণে স্থাানীয় স্বার্থান্বেষীমহল সরকারের বরাদ্দ দেয়া সামাজিক বনায়নের প্রকল্পের জায়গাসমূহ তাদের বিক্রি করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এভাবে সামাজিক বনায়ন লুটপাট করা হলে অদূর ভবিষ্যতে বাগানের অস্তিত্ব¡ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। উখিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী তরিকুল ইসলাম বলেন, উল্লেখিত সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বাগানের খালি ও পরিত্যক্ত অংশে নতুন করে বাগান সৃজনের পরিকল্পনা চলছে।