‘আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে’

মেহেদীবাগে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক »

নগরীর মেহেদীবাগ দারুস সোফফা তাহফিজুল মাদ্রাসার বাথরুম থেকে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার সন্ধ্যার সাড়ে ৭টা দিকে মেহেদী বাগের মেহেদী টাওয়ার এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ছাত্রের নাম সাবিব সায়হান (৯)। সে দারুস সোফফা তাহফিজুল মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ত। তার পিতার নাম মশিউর রহমান। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সে তার বাবা-মার সঙ্গে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডে একটি ভাড়াবাসায় থাকত।

এ বিষয়ে জানতে সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, ‘শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ (মঙ্গলবার) চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে নিহত শিশুর বাবা মশিউর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন ছেলেকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি আর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসায় নিয়ে যাই। সোমবার সন্ধ্যায় আমি মাদ্রাসায় গিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা করার পর দেখি ছেলে নিচে নামছে না। আমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ফোন দিলে তারা বলেন, পাঠাচ্ছি। আরেকজন শিক্ষক বলে বাথরুমে গেছে, চলে আসবে। এভাবে প্রায় ২০ মিনিট পর এক ছাত্র উপর থেকে আমাকে বলে, আঙ্কেল তাড়াতাড়ি উপরে আসুন সাবিবের অবস্থা ভালো না। তখন আমি দৌড়ে ৩য় তলায় পর্যন্ত গিয়ে দেখি ৪র্থ তলা থেকে তারা আমার ছেলেকে ধরাধরি করে নিচে নামিয়ে আনছে হাসপাতালে নেয়ার জন্য। জানতে চাইলে তারা বলে ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার ছেলে বেঁচে নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমার এই ছোট ছেলেতো আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে সম্ভবত হত্যা করা হয়েছে।
আমি তাকে নামানোর সময় গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর এখন তাকে কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। সেখানে দাফন শেষ করার পর পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করব।’