নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :
আনোয়ারায় করোনায় থেমে নেই জমি বিরোধের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা এলাকায় জমি বিরোধের মারামারি ঘটনায় আহত হওয়া মোহাম্মদ মিজান (২২) নামে এক যুবক ২২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গেছে।
হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরঙ্গো এলাকায় নিহতের স্বজরা ও স্থানীয়দের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন শেষ নিহত মিজানের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মানববন্ধনে হত্যাকারীদের দ্রম্নত আইনের আওয়াতায় এনে শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই বাড়ির মৃত মহিবুলস্নাহর পরিবার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো মোহাম্মদ জাফরের পরিবারের লোকজনের। গত (১৯ মে) দুপুরে ঘর ঘেঁষে পুকুর খনন করলে নিষেধ করে মোহাম্মদ মিজান। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি মহিবুলস্নাহ্র পরিবারের লোকজনের সাথে। এসময়ে লাটি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে মিজানকে। গুরম্নতর আহত অবস্থায় উদ্ধার আনোয়ারা উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হলে ট্রিটমেন্টের জন্য বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় মারা যায় সে। এদিকে মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘরের মধ্যে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
নিহতের চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ জানান, ২২ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করেও তাকে বাঁচানো গেল না। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।
সর্বশেষ বুধবার (২৭ মে) উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের হুদ্বীপপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই এলাকার চাচাতো ভাইদের হাতে খুন হন মাসুদুল আলম সিকদার (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্র। এঘটনায়ও এখনো পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। নিহতের পরিবার মামলা করলে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।