দুদকে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুলেন কর্ণফুলী (বঙ্গবন্ধু) টানেল সড়কে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের টাকা চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় কয়েকজন দালাল চক্রের বিরুদ্ধে লিখিত গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের পাঁচসিকদার বাড়ির হাজি আবুল হোসেনের পুত্র মো. নুরুল ইসলাম।ভুক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালক বরাবরে চট্টগ্রাম এল.এ শাখার ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা কায়সার খসরু, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, সার্ভেয়ার মো. মুক্তার হোসের, আবদুর রব, আবু কাউসার সোহেল, স্থানীয় নুরুল কবির, নবী হোসেন, ফরিদুল আলমসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের বেলচুড়া মৌজার ১৮ শতক জমির মধ্যে অধিগ্রহনকৃত ৭.৫ শতাংশ জমির মালিক নুরুল ইসলাম। সে মতে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন ভোগ দখলেও। কিন্তু সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প “কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন কর্ণফুলী (বঙ্গবন্ধু) টানেল সড়কে ভূমি অধিগ্রহণে এল.এ মামলা নং- ৩০/২০১৬-২০১৭ মূলে অধিগ্রহণ করলেও তপশীলোক্ত সম্পত্তির মালিক হিসেবে জানতে পারে সে ক্ষতি পূরণের টাকা পাবে। ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরে করেন দরখাস্তও। নিস্পত্তির তারিখ প্রদান করে জানাবে বলে কোনো ধরণের তথ্য প্রদান না করে সুকৌশলে এল.এ শাখার দালালরা মোটা অংকের টাকা ৫০% কমিশন দাবী করেন তার কাছ থেকে। আর প্রকৃত মালিক হিসাবে তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এমনটায় ঘটেছে বলেও জানা গেছে অভিযোগে।
এঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে স্থানীয় ও নগরের সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভোক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে সাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ আরিফ, জামাল উদ্দিনসহ ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।ভুক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমার মোট জমি হচ্ছে ১৮ শতক। অধিগ্রহনকৃত ৭.৫ শতাংশ জমির মালিক আমি নিজে। সে হিসেবে আমি ১৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ২০৫.৯০ টাকা পাই। কিন্তু মনির আহমদের পুত্র, (এলএ) শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় কিছু দালাল চক্র মিলে সে টাকা গুলো তুলে পেলে। এ জমিটা আমার নিজের দখলে ছিলো। আমি লিখিত আপত্তি জানানোর পরেও কোন ফিল্ড সার্ভেয়ার ছাড়া পরিকল্পিতভাবে আমার ক্রয়কৃত জমির ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা। আমি এসব থেকে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলাও করেছি জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) কে সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি এ বিষয়ে মাননীয় ভূমিমন্ত্রী মহোদয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।অভিযুক্ত চট্টগ্রাম এল.এ শাখার ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা কায়সার খসরু কাছে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেস্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালক শরীফ উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে এবিষয়ে একটি অভিযোগ করেছে। এটি অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।