আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে সাকিব

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

চলতি বছরের শুরু থেকে প্রতি মাসের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসের ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’-এ মনোনয়ন পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসির মে মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম উঠলো সাকিবের। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের সঙ্গে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।

আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা। আইসিসির বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ৯০ শতাংশ এবং সমর্থকদের ভোটের ১০ শতাংশ বিবেচনায় এনে ঘোষণা করা হয় চূড়ান্ত ফলাফল। সাকিবকে মাসের সেরা নির্বাচিত করতে এই লিংকে (https://www.icc-cricket.com/awards/player-of-the-month/mens-player-of-the-month) গিয়ে ভোট দিতে হবে।

জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন সাকিব। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। একমাত্র টেস্টে ৫ উইকেট নেন সাকিব, যদিও ব্যাট হাতে এক ইনিংসে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বল হাতে ৮ উইকেটের পাশাপাশি ১৪৫ রান এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে। যার মধ্যে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংসও খেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এছাড়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩৭ রান ও ৩ উইকেট নেন সাকিব।

সাকিব ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনায় মনোনয়ন পেয়েছেন মিচেল মার্শ ও ওয়ালশ জুনিয়র। অজি ক্রিকেটার মিচেল মার্শ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে ৪৩.৮০ গড়ে করেছিলেন ২১৯ রান। যেখানে ছিল তিনটি হাফসেঞ্চুরি। পাশাপাশি বল হাতেও নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। এছাড়া ক্যারিবীয় স্পিনার ওয়ালশ জুনিয়র ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছেন জুলাইয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে ৭ উইকেট ও পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে ১২ উইকেট নিয়ে দুই সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, চলতি বছর এই পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকে প্রথম তিন মাসে জিতেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে জানুয়ারিতে ঋষভ পান্ত, ফেব্রুয়ারিতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মার্চে ভুবনেশ্বর কুমার পুরস্কার জেতেন। এপ্রিলে এই পুরস্কার ওঠে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের হাতে। আর মে মাসে পুরস্কারটি উঠেছিল মুশফিকুর রহিমের হাতে।