এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া গ্ধ
অবশেষে ৫০ বছর পর পুর্বপুরুষের জমিতে মসজিদ নির্মাণ শেষে জুমার নামাজ পড়লেন রামপুর সমিতির ওয়ারিশরা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে রামপুর সমিতি চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোনের রামপুর মৌজার পুর্বপুরুষের সম্পত্তি উদ্ধারে দীর্ঘ ৫০বছর ধরে আইনি লড়াই করে আসছেন। সর্বশেষ উচ্চ আদালত উল্লেখিত জমি রামপুর সমিতির অনুকুলে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলেও প্রশাসনের একটিপক্ষ তা লক্সঘন করে চলছেন। তারপরও আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রামপুর সমিতির সভ্যরা দীর্ঘ ৫০বছর পর পুর্বপুরুষের সম্পত্তিতে একটি নান্দনিক মসজিদ নির্মাণ করেছেন। সেখানে জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তাঁরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি শুরু করেছেন। একইসঙ্গে একটি মন্দিরও নির্মাণ করেছেন। সেখানে শারদীয় দুর্গাৎসবের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু করবেন সনাতন ধর্মের সমিতির সভ্যরা। এদিকে দীর্ঘবছর পর হলেও পুর্বপুরুষের জমিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে পেরে আনন্দে আত্মহারা সকলধর্মের অনুসারী সমিতির সভ্য-পোষ্যরা। রামপুর সমিতির সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লিটন বলেন, চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোনের রামপুর মৌজার ৫হাজার ১শ১২ একর চিংড়ি জমি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে একটি চক্র। রামপুর সমিতির সম্পাদক শহীদুল লিটন বলেন, মৎস্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা মৎস্যচাষে খামার না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের নামে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিতে মৎস্যঘের ইজারা দেয়।
পরবর্তীতে পূর্বপুরুষের এই সম্পত্তি ফেরত চেয়ে ভূমিহীন পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে নিন্ম আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পর্যন্ত সর্বআদালতে তাদের পক্ষে রায় হয়। মামলার বাদি শহীদুল ইসলাম লিটন বলেন, রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি অবৈধ পন্থায় পূর্বপুরুষের সম্পত্তি দখলে নেই। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মূলত নিজেদের সম্পদ উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জমিগুলো ফেরত দিতে উচ্চ আদালতের আদেশ বারবার উপেক্ষিত হওয়ার কারণে সর্বশেষ হাইকোর্টে আবারও মৎস্য বিভাগের দাবিকে অবৈধ ঘোষণা করে সমিতির পক্ষ থেকে আরো একটি রিট পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। মামলার শুনানিতে আদালত মৎস্য বিভাগের দাবিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং উল্লেখিত জমি রামপুর সমিতির সদস্যদেরকে কেন হ্যান্ডওভার করা যাবে না এই মর্মে চার (৪) সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে আদেশ দেন। কিন্তু মৎস্য বিভাগ দীর্ঘদিন যাবত আদালতের কাছে জবাব প্রদান না করলে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তারিখে মামলার সর্বশেষ শুনানিতে আদালত সমিতির দাবিকৃত জমিগুলো একমাসের মধ্যে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য পুনরায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।শহিদুল ইসলাম লিটন দাবি করেন, মূলত দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রামপুর সমিতি জমিগুলো ফেরত পেতে একটি পর্যায়ে পৌঁছলে ঠিক ওইসময়ে পূর্বপুরুষের মালিকানাধীন চিংড়িজমি থেকে রামপুর সমিতিকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় মেতে উঠেছে।