অভিনেত্রী থেকে নেত্রী

আনন্দবাজার

যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে নিয়ে আসা হল অভিনেত্রী-রাজনীতিক সায়নী ঘোষকে। শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের কোর কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সায়নীর আগে ওই পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে শাখা সংগঠন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মূল সংগঠনে। তাকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের শূন্য পদেই সায়নীর নেত্রী হিসেবে অভিষেক ঘটল। খবর আনন্দবাজার।
নীলবাড়ির লড়াইয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সায়নী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ মাঠে সভা ছিল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই দিনের সভায় মমতার উপস্থিতিতে সায়নী তৃণমূলে যোগ দেন। তার আগে তিনি দীর্ঘ দিনই ঘোষিত ভাবে ‘বামপন্থী’ ছিলেন। মমতার সরকারের বিরুদ্ধেও তাকে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল। সেই সায়নীকেই এর পর মমতা আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করেন। সেখানে যদিও সায়নী হেরে যান বিজেপি-র অগ্নিমিত্রা পালের কাছে। কিন্তু তৃণমূল এবং আসানসোলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেননি। বরং করোনা এবং কার্যত লকডাউনের পরিস্থিতিতে বার বারই গিয়েছেন আসানসোল। ত্রাণ বিলি করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের নানা সমস্যায় তিনি পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই আবহেই তাকে দলের যুব সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল। যুব তৃণমূূলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে সায়নী বলেন, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। দায়িত্ব যখন পেয়েছি, এই মুহূর্ত থেকে কাজ শুরু করতে চাই।’
২০১৪ সালে অভিষেক যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পান। তার আগে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের পর সে বছরের ৩০ মে নেতাজি ইন্ডোরের এক বৈঠকে তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দুকে তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই সময়ে অভিষেক সর্বভারতীয় তৃণমূল যুবার সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের অন্দরের সমীকরণে যুব সভাপতি পদ থেকে শুভেন্দুকে সরানোয় আসলে অভিষেকের রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। সাংসদ অভিষেককে তখন তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে আনা হলেও পরে তাকে যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। তার ঠিক সাত বছরের মাথায় ওই পদ ছেড়ে অভিষেক গেলেন সর্বভারতীয় পদে। তার জুতোয় পা গলালেন সায়নী