নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »
চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের গোয়ালিয়া খোলা ব্রিজ থেকে চেমির মুখের সড়ক গোলার পাহাড়। মাত্র এক কিলোমিটারের সড়ক।
এ পথ ধরে বড়–য়া পাড়া, হিন্দুপাড়া ও গুং গুরু পাড়াসহ ১০ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের চলাচল। ৪০ বছরে পিচ ঢালাই তো দূরের কথা ইট পর্যন্ত বসেনি এ সড়কে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা এ সড়ক সংস্কারে ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
সাঙ্গু নদীর উপর গোলালিয়া খোলা ব্রিজ হওয়ার পর প্রতিদিন এ সড়ক ধরে এ এলাকার মানুষ বান্দরবান, রেইচা, কেরানীহাট, দোহাজারী, চট্টগ্রাম ও উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছে। বৃষ্টিতে সড়কটি কাদামাটিতে একাকার হয়ে এখন আর চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে। শিকার হতে হচ্ছে দুর্ঘটনারও।
ধোপাছড়ি সমিতি- চট্টগ্রামের সভাপতি আব্দুল আলীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সড়কটির বেহাল দশা। বারবার অনুনয়-বিনয় করে সড়ক সংস্কারে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।
সড়ক সংস্কারে স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মেম্বার আইয়ুব আলী মাস্টার জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম বলেন, এ সড়ক সংস্কার করার জন্য উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউন নবীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।