কাঠ পাচার রোধে উত্তর বন বিভাগের অভিযান
বনজদ্রব্যের অবৈধ পাচার প্রতিরোধে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ অভিযান জোড়দারসহ বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে।
গত ৩ মাসে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন সড়ক পথে পাচারকালে সেগুনসহ প্রায় ৩ হাজার ৯ শত ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ঘনফুট জ্বালানী কাঠ, ১১২ টি বল্লী, ৫৬ টি তৈরী কাঠের দড়জা, ৩৯ টি চৌকাঠ, ১৮ টি জানালার পাল্লা, ৩৮ আইটেম সেগুন কাঠের আসবাবপত্র, ৭৪০ টি বাড়িয়ালা বাঁশ, ৬ টি কাভার্ড ভ্যান, ৯ টি ট্রাক, ৪ টি পিকআপ, ১ টি ট্রেইলর, ৭ টি জীপ, ১ টি মাহিন্দ্র, ১ টি ভ্যান, ১ টি টমটমসহ ৩০ টি যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক, খাগড়াছড়ি-রামগড়-চট্টগ্রাম সড়ক, কর্ণফুলী সেতু সড়ক, কালুরঘাট সেতু সড়কসহ চট্টগ্রাম শহরে আসা বিভিন্ন সড়কে শহর রেঞ্জের বিশেষ টহলদল এবং ধুমঘাট ফরেস্ট চেক স্টেশণ, করেরহাট বিট-কাম চেক স্টেশন, ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশণ, হাটহাজারী বিট-কাম চেক স্টেশণ, রাউজানঢালা বিট-কাম চেক স্টেশণ ও নারায়নহাট বিটের সড়ক পথে অবৈধভাবে বনজদ্রব্য পাচারের অপরাধে বিভিন্ন অভিযানে ১৮ জনকে আটক করে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণসহ পৃথক ৪৩ টি বন মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত কাঠের মূল্য ৩০ লক্ষাধিক টাকা। আটক বনজদ্রব্যসহ যানবাহন কালুরঘাট সরকারী কাঠের ডিপো এবং চেক স্টেশণ হেফাজতে রাখা হয়েছে। শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক ব্রজ গোপাল রাজবংশী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, স্টাফ ও সরকারি যানবাহন স্বল্পতা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নির্দেশে বনজদ্রব্য পাচার প্রতিরোধে অভিযান জোড়দার করা হয়েছে।
বনজদ্রব্যের অবৈধ পাচার প্রতিরোধে অভিযান জোড়দার করায় পাচারকারীরা ত্রিপল ঢাকা ট্রাক, মিনি ট্রাক, বালুর নীচে, তরকারির গাড়িতে, ইটের গাড়িতে, কাভার্ড ভ্যানেসহ অভিনব কায়দায় কাঠ পাচার করছে। স্পর্শকাতর এলাকায় র্যাব-৭সহ যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী এবং সদর সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাছানুর রহমান জব্দকরা বনজদ্রব্য পরিদর্শন করেছেন। বিজ্ঞপ্তি