নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান »
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুর হাট জমে না উঠলে ও খামারে বিভিন্ন এলাকায় মজুদ করে রাখা গরু ও মহিষের কোনা কাটা শুরু হয়েছে । কোরবানীর জন্য গরু ও মহিষ, ছাগল কেনাকাটার পশুর হাট জমে উঠেনি এখনো । রাউজানে বিভিন্ন এলাকায় ডেইরী ফার্ম, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ও মহিষ এনে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা মজুদ করে রেখেছে ।
ডেইরি ফার্ম ও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মজুদ করা গরু ও মহিষ ক্রয় করতে এলাকার লোকজন ছুটে যাচ্ছে খামারে ও মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীদের কাছে । এছাড়া ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় লোকজনের গৃহপালিত গরু ও মহিষ ক্রয় করছে এলাকায় ঘুরে ঘুরে। রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাউজানে খামারের সংখা ৪শত ৫১ টি । ৪শত ৫১ টি খামারের মধ্যে ৩৫ হাজার ১শত ৯২ টি গরু মহিষ রয়েছে ।
তার মধ্যে গাভী রয়েছে ৭শত ৭২টি, ষাড় রয়েছে ১ হাজার ৫শত ৯টি, বলদ রয়েছে ৬ হাজার ৭শত ৮০ টি, মহিষ রয়েছে ২ হাজার ১শত ৯৬টি , ছাগল রয়েছে ৬ হাজার ১শত ৭৮টি, ভেড়া রয়েছে ১ হাজার ৩শত ৬৮টি । এলাকার লোকজনের গৃহপালিত গরু রয়েছে ৩শত ৯৬টি । খামারীদের লালন পালন করা গরু মহিষ ছাড়া ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানীর জন্য বিক্রয় করতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমাণ গরু মহিষ এনে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ঘরের মধ্যে ও তেরপাল টাঙ্গিয়ে মজুদ করে রখেছেন । পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাউজানের যে সব এলাকায় পশুর হাট বসবে সে সব পশুর হাটে করোনার প্রার্দুভাবের কারনে পশুর হাট বসানোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর জন্য রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে পশুর হাট বসাতে সিদ্বান্ত দেবেন ।
রাউজানের হলদিয়া বইজ্যার হাট, আমির হাট, জানিপাথর বাজার, উত্তর সর্তা দরগাহ ছড়ি বাজার, ডাবুয়া ইউনিয়নের জগ্ননাথ হাট, হিংগলা মুছা শাহ বাজার, চিকদাইর ইউনিয়নের হক বাজার, দক্ষিন সর্তা কালচান্দ চৌধুরী হাট, গহিরা দলই নগর স্কুল মাঠ, নোয়াজিশপুর নতুন হাট, ফতেহ নগর বাশডুয়া তল বাজার, রাউান পৌরসভার জানালী হাট, পশ্চিম রাউজান চারাবটতল বাজার, ফকির হাট বাজার, বিনাজুরী ইউনিয়নের কাগতিয়া হাট, রাউজান ইউনিয়নের রমজান আলী হাট, নাতোয়ান বাগিচা, কদলপুর ইউনিয়নের সোমব্ইাজ্যার হাট, ঈশান ভট্টের হাট, পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তর পাড়া গৌরি শংকর হাট, বদু পাড়া পিংক সিটি, পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের অলি মিয়ার হাট, নতুন চৌধুরী হাট, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই পি,কে সেন হাট, রঘুনন্দন চৌধুরী হাট, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী হাট, কচুখাইন মিয়া আলী হাট, বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি, ভ্রাম্বন হাট, লাম্বুর হাট, উরকির চর ইউনিয়নের আলা মিয়ার হাট, জিয়া বাজার, কেরানী হাট কেরবানীর পশুর হাট বসবে। এছাড়া ও এলাকার লোকজনের লালন পালন করা গরু ও মহিষ ক্রয় করছেন এলাকার লোকজন। রাউজানের দক্ষিন হিংগলা শান্তি নগর এলাকার জুলেখা বেগম একটি গরু লালন পালন করেন। জুলেখা বেগমের লালন পালন করা ষাড় গরুটি ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রয় করেছেন দক্ষিন হিংগলার প্রবাসী মো.রফিকের কাছে। একই এলাকার রুপবানুর একটি লালন পালন করা ষাড় ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন প্রতিবেশীর কাছে । রাউজানের কলমপতি এলাকার এক খামারী হাসান বলেন, তাদের খামারে কোরবানীর জন্য ষাড়, গাভী, বলদ গরু রয়েছে । একটি ষাড় গরু রাউজান আর আর এ সি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হারুন আল রশিদ চৌধুরী ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। রাউজানের ৭নং রাউজান ইউনিয়নের রশিদর পাড়া এলাকার রিপন এগ্রো ফামের মালিক এমদাদ হোসেন রিপন বলেন, তার খামারে ৫৫ টি বিভিন্ন সাইজের গরু কোরবানীর জন্য বিক্রয় করতে মজুদ করে। এপর্যন্ত রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ১৫টি গরু ক্রয় করে নিয়ে যায়। রাউজান উপজেলঅ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মিজানুর রহমান জানান কোরবানীর পশুর হাটে প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করবে । রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুন বলেন, কোরবানীর পশুর হাট বসানোর জন্য সরকারী যে নির্দেশনা পাওয়া যাবে সরকারের সে নির্দেশনা পালন করবে পুলিশ ।
রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় হাট বাজারে কোরবানীর পশুর হাট বসাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করছে পশুর হাট বসানোর আয়োজনকারীরা ।