চকরিয়ায় মামলার ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার অভিযুক্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :
যৌতুকসহ বরপক্ষের নানা চাহিদা সঠিকসময়ে মেটাতে না পারায় নববধুকে বাড়িতে তুলে নেয়নি স্বামী। এরই মধ্যে স্বামীর বাড়িতে যাবার আগেই একটি ফুটফুটে সন্তান আসে সংসারে। ঘটনাটি ঘটেছে চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালীতে। নির্যাতিত নারী তানিয়া আক্তার (২০) বদরখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ছনুয়াপাড়া গ্রামের আজগর আহমদের মেয়ে। ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কথাবার্তা চুড়ান্ত হলেও যৌতুকসহ বরপক্ষের নানা চাহিদা সঠিকসময়ে মেটাতে না পারায় নববধুকে বাড়িতে তুলে নেয়নি স্বামী ও তাঁর পরিবার। চাহিদা মেটাতে পারলে পরবর্তীতে কনেকে বরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই সুযোগে শ^শুড় বাড়িতে প্রায় একবছর আসা-যাওয়া করে স্বামী। এরই মধ্যে নববধু ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে যথারীতি সংসারও করেছে। সম্প্রতি তাদের সংসারে জন্ম নিয়েছে একটি ফুটফুটে সন্তান।ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, একবছর পর সংসারে সন্তান আসলে বেঁেক বসে স্বামী ও তাঁর পরিবার। নানা বাহানা তুলে তাঁরা কৌশলে বিয়ে ভেঙে দিতে উদগ্রীব হয়। একপর্যায়ে ওই নারীকে শ^শুড় বাড়িতে নিতেও অস্বীকৃতি জানায়। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী নারী নিরুপায় হয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে গেলে সেখানে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই নারী আবারও বাবার বাড়িতে চলে আসে।
সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওই নারী এবং তাঁর স্বজনরা চকরিয়া থানায় এসে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানকে। তাৎক্ষনিক ওসি মিজানুর রহমান নির্যাতিত ওই নারীর লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রের্কড করেন এবং নির্দেশ দেন বদরখালী পুলিশ ফাঁিড়র আইসিকে মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের আটক করতে। তাঁর নির্দেশে পুলিশ ফাঁিড়র আইসি এসআর জাকির হোসেন অভিযান চালিয়ে ১২ ঘন্টার মধ্যে আটক করেন মামলার আসামি স্বামী এবং দেবরকে। আটক দুইজন হলেন বদরখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ছনুয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) ও তার ভাই মোহাম্মদ এরশাদ (২১)। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চলতি দায়িত্ব মো.মিজানুর রহমান বলেন, মামলার পর এজাহারনামীয় দুই আসামি স্বামী ও দেবরকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।