দেশগ্রামে বই উৎসব
চকরিয়া : আমাদের চকরিয়া প্রতিনিধি জানায়,বছরের প্রথমদিন গত ১ জানুয়ারি শুক্রবার চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জনপদে অবস্থিত সরকারি- বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই উৎসব কর্মসুচি পালিত হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত বই উৎসবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ২০২১ সালের নতুন পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে। আর নতুন পাঠ্যবই হাতে পেয়ে খুশি পঞ্চমুখ শিক্ষার্থী-অভিভাবকমহল। সরকারি নির্দেশনার আলোকে চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইছমত জাকিয়া বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা কমিটির সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আবু জাফর, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুর মোহাম্মদ, শওকত ওসমান, মিত্রা সেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছেনুয়ারা বেগম, কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় কমিটি, সকল শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সুধিজন উপস্থিত ছিলেন। একইদিন চকরিয়া গ্রামার স্কুলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বই উৎসব উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অধ্যাপক আবু নঈম আজাদ, অধ্যাপক বশির আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় কমিটি, সকল শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সুধিজন উপস্থিত ছিলেন। বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে দেশের শিক্ষাখাতে ব্যাপক পরির্বতন ঘটেছে। মানসম্মত শিক্ষা বিকশিত হওয়ার ফলে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা মেধাবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হচ্ছে। সরকার প্রধানের সদিচ্ছার কারনে বাংলাদেশে শিক্ষাখাতসহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাখাতে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। এই অর্জন অব্যাহত রাখতে হলে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়ার মান আরো বাড়াতে হবে। সরকারি নির্দেশনার আলোকে বছরের প্রথমদিন পয়লা জানুয়ারি চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এরপর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নতুন পাঠ্যবই। কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (এসএমসি) কমিটির সভাপতি সাংবাদিক এম.জিয়াবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই বিতরণ উৎসবে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম রুকুনউদ্দিন। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শাহরিয়ার আওরঙ্গজেব চৌধুরী তারেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাশেদা বেগম, চকরিয়া পৌরসভা ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম নুরুশ শফি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাংগীর আলম দুদু মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সহকারি সৈয়দ আহমদ, সমাজসেবক ছরওয়ার আলম, রফিকউদ্দিন, উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুচিত্রা চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক পারভীন আক্তার, সহকারী শিক্ষক জেসমিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক মিশোরী জন্নাত মিশু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সুধিজন।
রাঙামাটি : আমাদের রাঙামাটি প্রতিবেদক জানায়,করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করা হচ্ছে। তবে জেলায় ৫ম শ্রেণির ১৩ হাজার ৭শ৪ শিক্ষার্থী নতুন বই থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন ২/১ দিনের মধ্যে বই পৌঁছে যাবে। একই সাথে এবার সাধারণ বইয়ের সাথে মাতৃভাষার বই পাচ্ছে ২৭ হাজার ৫শ৯১ জন ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকালের শহরের বনরুপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রতিবছরের ন্যায় এবার জাঁকজমকভাবে বই উৎসব পালন করা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে শুধুমাত্র অভিভাবকদের হাতে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। বই বিতরণেও সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে এই বই বিতরণ করা হচ্ছে। আশা করছি আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে যাবে। তিনি আরও জানান, করেনা ভাইরাসের কারনে প্রেসগুলো কাজে কিছুটা ব্যঘাত সৃষ্টি হয়েছে। তাই তারা নির্দিষ্ট সময়ে সব বই ছাপাতে পারেন নি। ৫ম শ্রেণি নতুন বই এখনো না পৌঁছালেও আশা করছি ২/১ দিনের মধ্যে বই পৌঁছে যাবে, তখন জেলায় ৫ম শ্রেণির ১৩ হাজার ৭শ৪ শিক্ষার্থীর মাঝে বই তুলে দেওয়া যাবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, এবছর জেলার ১০ উপজেলায় ৯৬ হাজার ১শ২৫ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ২শ২০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করা হবে। একই সাথে পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী ২৭ হাজার ৫শ৯১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬২ হাজার ৩শ৯১টি বই বিতরণ করা হবে। ২০২১ সনে সাধারণ শিক্ষার্থীর প্রাক- প্রাথমিকে ২১ হাজার ২শ১০ জন শিক্ষার্থীকে ৪২ হাজার ২০ টি, ১ম শ্রেণি ১৫ হজার ৪১০ জন শিক্ষার্থীকে ৪৫ হাজার ৯৩০টি, ২য় শ্রেণি ১৫ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থীকে ৪৬ হাজার ৩শ৯২ টি, ৩য় শ্রেণি ১৫ হাজার ২শ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ৯১ হাজার ১শ৪ টি, ৪র্থ শ্রেণি ১৫ হাজার ১০ জন শিক্ষার্থীকে ৮৮ হাজার ৫শ৭২ টি বই বিতরণ করা হবে। তবে ৫ শ্রেণির শিক্ষার্থীর বই প্রাপ্তি সাপেক্ষে ১৩ হাজার ৭শ৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৮০ হাজার ২শ২ টি বই বিতরণ করা হবে। জেলায় মোট ৯৬ হাজার ১শ২৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ২শ২০টি বিতরণ করা হবে। ২০২১ সনে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী প্রাক-প্রাথমিক ৮ হাজার ১শ৪৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৬ হাজার ২শ৯২টি, প্রথম শ্রেণির ৬ হাজার ৪শ৯৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৯ হাজার ৪শ৮৮ টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৬ হাজার ৮শ৩১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২০ হাজার ৪শ৯৩ টি এবং তৃতীয় শ্রেণির ৬ হাজার ১শ১৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৬ হাজার ১শ১৮ টি বই বিতরণ করা হবে। জেলায় মোট ২৭ হাজার ৫শ৯১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৬২ হাজার ৩শ৯১ টি বিতরণ করা হবে। উল্লেখ্য, পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে ২০১৭ সালে প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুরা মাতৃভাষায় পড়তে পাচ্ছে। প্রথমে প্রাক-প্রাথমিকে হলে পর্যায়ক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণি মাতৃভাষায় বই দেওয়া হচ্ছে।
রামগড় : আমাদের রামগড় প্রতিনিধি জানায়,রামগড় উপজেলার ৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শুক্রবার উৎসব মুখর পরিবেশে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে।এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৃথক পৃথক বই উৎসব উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি – উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. মাহমদু উল্যাহ মারুফ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব কান্তি রুদ্র, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক, পৌর মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান কাজী রিপন, ১ও ২ নম্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহআলম ও মনিন্দ্র ত্রিপুরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণে অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ, উপজেলা রিসোর্চ সেন্টারের ইন্সেট্রাক্টর মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু ইউসুফ, সহকারী শিক্ষা অফিসার উম্রাচিং চৌধুরী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক- বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ,স্বস্ব বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকবৃন্দ।দুর্গম লাচাড়ি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দেবনাথ বলেল,বছরের শুরুতে পাহাড়ি এলাকার প্রান্তিক শ্রেণীর শিশুরা নতুন বই পেয়ে ভীষণ খুশি। তারা সবাই আনন্দের মধ্য দিয়ে বই নিয়েছে।শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির প্রায় ৯ হাজার দুইশ শিক্ষার্থীর মাঝে ৫০ হাজার ৫ শ ৫০ টি নতুন পাঠ্যবই বছরের শুরুতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোমলমতি শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি : আমাদের নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি জানায় সারাদেশের মতো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতেও প্রাথমিব বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন বই। শুক্ররবার একযোগে উপজেলার ৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে এসব বই বিতরণ করা হয়। বছরের শুরুর দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছে উপজেলার সবক’টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত একযুগ যাবত প্রতিবারই ১ জানুয়ারি নতুন বই শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয়। দিনটিকে ‘বই উৎসব’ হিসেবে পালন করে আসছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল বশরের সভাপতিত্বে বই বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১১ বিজিবি মেডিকেল অফিসার জাহেদুল ইসলাম ভুইয়া। সকাল সাড়ে ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি। এই দুই প্রতিষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা,উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সহকারি শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, মনোয়ারা আক্তার জেসসিন, মোমেনা আক্তার, খতিজা বেগম। নাইক্ষ্যংছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্হিত ছিলেন (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা, বুলবুল আক্তার, কহিনুর আক্তার, মোহাম্মদ শফিকুর রহমান রিক্তা আরা, ও বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক ওমর ফারুক,এবং নাইক্ষ্যংছড়ি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা করেন রেহেনা আক্তার। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা এই প্রতিবেদকে জানান, বিতরণ উৎসবের প্রথম দিনেই বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হয়েছে। একই কথা জানালেন সহকারি শিক্ষা অফিসার আকতার উদ্দিন। এ বিষয়ে মাধ্যমিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বলেন, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৬টি, বেসরকারি ২০টি মোট ৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্টানে একযোগে বই বিতরণ করা হয়েছে।
দীঘিনালা : আমাদের দীঘিনালা প্রতিনিধি জানায় শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন এবং বই উৎসবে শিশুদের হাতে নতুন বই বিতরন করা হয়েছে। গত শুক্রবার দীঘিনালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই বিতরন কর্মসূচি উদ্ধোধন করেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি লিপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুস্মিতা ত্রিপুরা, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মাইনুদ্দীন, উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার রাঙ্গা মারমা, সোনামিত্র চাকমা, দীঘিনালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামনা ত্রিপুরা প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে ১ম হতে ৫ম শ্রেণির ৪গ৪২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বই বিতরণ করা হয়।