নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগড় :
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের দাতারাম পাড়া এলাকার বনের ভেতর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে ৩ টি ইটভাটা গড়ে উঠার খবর পাওয়া গেছে।
এ সব ড্রাম চিমনির ভাটায় পাহাড় ও ধানি জমির মাটি ও বনের গাছ ব্যবহার করে ইট তৈরির অভিযোগ রয়েছে। এমএসপি ব্রিকস, আপন ব্রিকস ও মেঘনা ব্রিকসে ইট পোড়ানো মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই অবৈধ কর্মকান্ড চলছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে আপন ও এমএসপি ইটখোলার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ বিস্তর। বিশালাকৃতির এ ফিল্ড দুটি পুরোনো ও এখানে উৎপাদিত ইট পাহাড়ি এলাকার গন্ডি পেরিয়ে সমতল এলাকায়ও ব্যাপক ভাবে যাচ্ছে। ফলে দাতারামপাড়ার দুই কিলোমিটার রাস্তা ব্রিক ফিল্ডের মালামাল ও ইট পরিবহনে একদম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় অধিবাসী রুপন ত্রিপুরা, কমল ত্রিপুরা, ভবানী কারবারী, সুবল ত্রিপুরা, মচাংরাজ ত্রিপুরা ও রবীন্দ্র ত্রিপুরাসহ অন্যরা জানান, ইট,বালি ওঠে ধুুধূু বালুকাময় এ সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খুবই কষ্ট হয়( যদিও এখন বিদ্যালয় বন্ধ)।
ধুলাবালিতে একাকার হতে হয়। সামনে বুষ্টির মৌসুমের আগে রাস্তা মেরামত না হলে বন্ধ হয়ে যাবে দাতারাম পাড়া সড়ক । দীর্ঘ কয়েক বছরেও সড়ক উন্নয়নে কাজ হয়নি।
এদিকে দাতারাম পাড়া সড়কটি উন্নয়নে স্থানীয় প্রশাসনসহ ফিল্ড মালিকদের অনুরোধ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় গাছ-বাঁশ ফেলে ৬ এপ্রিল ব্যরিকেড দেয়। সরেজমিন দেখা যায়, ইট বোঝাই ট্রাক ও মাটি কাটার এক্সকেভেটর রাস্তায় আটকে আছে। স্থানীয়রা জানান,অনেক অনুনয়-বিনয় জানিয়েও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় গাছ-বাঁশ ফেলেছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. ইউনুছ, বারা কুমার ত্রিপুরা,জমি ত্রিপুরাসহ গ্রামবাসীর অনেকেই জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান,ইউএনও, ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত ও মৌখিকভাবে ব্রিক ফিল্ডের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানানো হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে খাগড়াবিল এলাকায় নুরজান ফিল্ডের বিরুদ্ধেও কাঠ পোড়ানোসহ টিলার মাটি ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমস্যাগুলো সমাধানে অবিলম্বে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।