মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া :
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিন রাজানগর ইউনিয়নের রাজারহাট বাজার চৌরাস্তার মাথা এলাকায় বিভিন্ন বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। ভেজাল ও মানহীন খাদ্য খেয়ে হাজার হাজার মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করায় সরকার প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।রাজারহাট গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, দয়াল ফুড প্রোডাক্টস্ বেকারীতে খুবই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের ময়দা, পঁচা ডিম ও পাম অয়েল দিয়ে খাদ্য প্রস্তুত করা হয়। কারখানায় অধিকাংশ শ্রমিক হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু-কিশোর। কম বেতনে তাদের কে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। যা খুবই অমানবিক ও আইনগত মারাত্মক অপরাধ। স্থানীয় দয়াল ফুড প্রোডাক্টস্ সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ঘিঞ্জি পরিবেশে কারখানাটি নির্মাণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের গায়ে একজনেরই স্বাস্থ্যসম্মত পোশাক নেই। নিষিদ্ধ রং মেশানোর কাজে নিয়োজিত ৩ শিশু শ্রমিক। শ্রমিকদের ঘাম পড়ছে ময়দাতে। মশা-মাছি চারিদিকে। ময়দা খোলামেলা করে রাখাতে অবাধে মাছি বসছে তাতে। কারখানার এক পাশে দেখা গেছে বিড়ালের অবাধ বিচরণ। স্থানীয়রা জানায়, প্রতি সপ্তাহে বেকারিতে শতশত ঘনফুট জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করা হয়। বিষাক্ত কালোধোঁয়া পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।রানীরহাট এলাকার মোহাম্মদ গোফরান বলেন, রাঙ্গুনিয়া জুড়ে ভেজাল, মানহীন খাদ্য প্রস্তত করছে অধিকাংশ বেকারিগুলো। দিন দিন মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ। দয়াল ফুড প্রোডাক্টস্ বেকারির মালিক মো. রুহুল আমিন বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চলছে বেকারি। শ্রমিকদের আলাদা কোন পোশাক দেয়া হয় না। রাঙ্গুনিয়ার সবকটি বেকারিতে নিয়ম মানা হচ্ছে না।