নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া »
কক্সবাজার- টেকনাফ সড়কে দিন দিন বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা ও অসহনীয় যানজট। দুর্ঘটনা এড়াতে দেশে মটরযান আইন থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। যার ফলে মৃত্যুর সারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। জনসাধারণের সচেতনতার অভাব, চালকদের অসতর্কতা, সঠিক আইন-কানুন জানে না, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বহীনতা এবং আইন বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। একদিকে যেমন সাধারণ জনগন ট্রাফিক আইন মেনে চলছে না, ঠিক তেমনি তা অনুসরণ করছে না চালকরাও। আবার ট্রাফিক পুলিশও সেই আইন বাস্তবায়নে সবর্দা সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উখিয়া সদর, কোর্টবাজার, মরিচ্যা, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী বাজারের বিভিন্নস্থানে দেখা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার হচ্ছে পথচারী। ফলে অনেক সময়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। আন্ত: জেলা ট্রাক মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান বলেন, লোকাল পরিবহনগুলো যাত্রী উঠানামার প্রতিযোগিতায় মত্ত থাকে। ফলে বিভিন্ন সড়কে গতি নির্ধারন করা থাকলেও তা অনুসরন করছেন না চালকরা। আবার যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামানো হচ্ছে দেদারসে। ফলে বাড়ছে যানজট আর ভোগান্তি। এছাড়া ট্রাফিক আইন অমান্য করে উচ্চ স্বরে বাজাচ্ছেন গাড়ির হর্ণ। স্থান ভেদে শব্দ সীমা নির্ধারন করা থাকলেও তা তোয়াক্কা করছেন না চালকরা। ফলে বাড়ছে শব্দ দূষণ আর অতিষ্ঠ হচ্ছে লোকজন। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের তীব্র যানজট থেকে রক্ষা পেতে সরকার জরুরী হস্তক্ষেপের অংশ হিসেবে সড়কটিকে উভয় পাশে প্রশস্ত করার পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনগুলো কে চার লেনে প্রশস্ত করার কাজ শুরু করলেও দীর্ঘ সূত্রতার কারণে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে। দেখে মনে হয় সড়ক সংস্কার করার চেয়ে না করাটাই ভাল ছিল। উখিয়া বাস মিনিবাস মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো জানান, অবৈধ পার্কিংয়ের পাশাপাশি দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। আর তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের সেলামী ও ভাড়া আদায় করে ফায়দা লুটছে কিছু কিছু মার্কেট মালিক ও সংঘবদ্ধ একটি প্রভাবশালী চক্র। যা নিয়ে ইতি মধ্যেই টোল আদায়কারী ও স্থানীয়দের মাঝে সংঘর্ষ ও মারামারির মত ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক স্টেশন উখিয়া ও কোর্টবাজারে যানজটের অবস্থা ভয়াবহ। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
গ্রাম