-
বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল
-
বনবিভাগের উদাসীনতার অভিযোগ
-
গাইড ব্যবহার না করার অভিযোগ ইউএনও’র
রাজু কুমার দে, মিরসরাই »
মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ঝর্ণাগুলো দিন দিন বিপদজ্জনক হয়ে উঠছে। পর্যটকদের ঝর্ণায় গোসল ও উঠার অভিজ্ঞতা না থাকায় বারবার ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে করে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সর্বশেষ গত শুক্রবার ফেনী থেকে আসা পর্যটক ফয়েজ আহম্মদ মারা যায়। এবিষয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় দূর্ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের দাবি পর্যটকদের জন্য গাইড দেয়া হলেও কেউ গাইড ব্যবহার করছে না।জানা গেছে, ঝর্ণা পরিদর্শনের এসে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেলফি তুলতে গিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। অনেকে সাঁতার না জেনে পানিতে নেমে ডুবে যাচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে নেই সতর্কতার পোস্টার কিংবা ব্যানার। সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে কমপক্ষে ১১জন পর্যটক নিহত হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার ফেনি থেকে আসা ফয়েজ আহম্মদ নামে এক পর্যটক পা পিছলে পড়ে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪ জন। এর আগে গত ২৯ আগস্ট দেলোয়ার হোসেন নামে চট্টগ্রামের এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়। গত বছরের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে আসা মেহেদী হাসান (২২) নামে একজন প্রকৌশল ছাত্রের রুপসী ঝর্ণায় নির্মম ভাবে মৃত্যু হয়। একই বছরের ২৬ জুলাই ঢাকা থেকে আসা প্রকৌশলী আবু আলী আল হোসাই মেমোরী ( ৩০ ) নামের প্রকৌশলী অসতর্কভাবে ছবি তুলতে গিয়ে পিছলে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে খৈয়াছরা ঝর্ণায়। ওই বছরের ১২ জুলাই বোয়ালিয়া ঝর্ণা দেখতে আসা ১৫ ছাত্রছাত্রী অসতর্কতার জন্য ঝর্ণার পথে ছরায় পানি বেড়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এছাড়া গত কয়েক বছরে এভাবে অন্তত ১১ জন সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণ হারায় এই ঝর্ণা দেখতে এসে। কিন্তু তবু ও দর্শনার্থিদের প্রবল আকর্ষন এই জলপ্রপাত সম সৌন্দর্য্যমন্ডিত ঝর্ণাগুলো। এই সব ঝর্ণা দেখতে আসা দর্শনার্থিরা সতর্ক না হলে আগামী দিনে একইভাবে দূর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে। এই বিষয়ে মিরসরাইয়ের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. জামশেদ আলম বলেন, ঝর্ণার এলাকা গুলোতে বন বিভাগের উদ্যোগে সতর্কতা সম্বলিত বিভিন্ন ফেস্টুন, সাইনবোর্ড, সতর্কবার্তা সকল ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের আসেপাশে লাগানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। এই বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে গাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকরা গাইড ব্যবহার করে না। এছাড়া এই পর্যন্ত যারা মারা গিয়েছে তাদের ছবি সংগ্রহ করে একটি বোর্ড করা হবে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে স্থায়ীভাবে একজন চৌকিদার দেয়া কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।