গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি :
সত্যের জয় অনিবার্য।‘জুম্মজাতি ধ্বংসের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হোন’ স্লোগানে পথচলা ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) গণতান্ত্রিক-এর ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে খাগড়াছড়িতে।
করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। পরে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মারমা উন্নয়ন সংসদ কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার আগে সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বুলেটে আত্মত্যাগীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন নেতাকর্মীরা। পরে আনুষ্ঠানিক আলোচনা সভা শুরু করা হয়।
ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মিটন চাকমার সভাপতিত্বে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য অমর চাকমার সঞ্চালনায় সূচিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য সুলেন চাকমা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধর্ম ও রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র এডভোকেট রাজীব দাশ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ও রাজনৈতিক গবেষক মো. আশাদুল ইসলাম, জেএসএস (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভু রঞ্জন চাকমা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনার্দ্দন দে, পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপন চাকমা। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ষড়যন্ত্রকারী প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফ এখন জনবিচ্ছিন্ন। যারা মাতৃভূমিকে ভুলে যায় এবং দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাদের অবস্থা এর চেয়ে ভালো হয় না। প্রসীত নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ হত্যা ও চাঁদাবাজির রাজনীতিতে লুটপাটের রাজনীতি করে জুম্মজাতির অধিকারের ধুয়া তুলে জুম্ম জাতির কাঁধে বন্দুক রেখে নিজের স্বার্থ হাসিলের চক্রান্ত করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নেতাকর্মীরা।
তাই পাহাড়ে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফ বয়কট করে জনগণ নিজেদের স্বার্থরক্ষায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর পতাকা তলে, শান্তির পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফ, সন্তু বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্রে মেতেছে তা থেকে সরে এসে শান্তির পথে হাঁটার পরামর্শ দেন তারা। নইলে ষড়যন্ত্রের পথে অন্ধকারের চোরাবালিতে হারিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা আরো বলেন, অগণতান্ত্রিক বলপ্রয়োগের রাজনীতি, চাঁদাবাজি, গুম, খুন, অপহরণ, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জাতীয় দিবস বর্জনের রাজনীতি করছে ইউপিডিএফ। ‘ইউপিডিএফ নেতারা নিজেদের পকেট ভারী করে মূল লক্ষ্য বিচ্যুত হয়ে নীতিহীন, আদর্শহীন, লক্ষ্যভ্রষ্ট, দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা বলেন, ইউপিডিএফের বর্তমান নেতৃত্ব জুম্ম (পাহাড়ি) জনগণ থেকে পুরোপুরি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ১৫ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)।