সড়কে অবৈধ স্থাপনা
নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :
সাতকানিয়া আদালত সড়কের উপর জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ ঘটিয়ে হাসিলের নামে অবৈধভাবে টাকা আদায় করে অস্থায়ীভাবে দোকান বসানো, মালামাল মজুদ ও গাড়ি পার্কিং বন্ধে জনস্বার্থে দায়েরকৃত একটি মামলায় পৌরসভার মেয়র, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও থানার ওসিসহ ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দোকান না বসাতে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য সাতকানিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। গত রোববার বিকালে সাতকানিয়া যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের বিচারক নূরে আলম ভূঞা এ আদেশ দেন। আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের শো-কজ এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকে আদালত সড়কের উপর অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে সাতকানিয়া আদালতের নাজির জামাল উদ্দীনের দায়েরকৃত মামলায় আদালত এ দ’ুটি আদেশ প্রদান করেন। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকার অন্যান্য স্থানের ন্যায় সাতকানিয়া আদালত সড়কের (ডলুব্রিজের পূর্ব পাশ থেকে সাতকানিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত) উপর মালামাল মজুদ, অস্থায়ী দোকান বসানো ও গাড়ি পার্কিং করে একটি চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সড়কের উপর অবস্থানকারীদের কাজ থেকে হাসিলের নামে টাকা আদায় করে আসছিলেন। ফলে সাতকানিয়া আদালতের নাজির জামাল উদ্দীন সরকারি কৌশলি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন কচিরের সাথে পরামর্শ করে সাতকানিয়া যুগ্ম-জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শুনানি শেষে বিচারক কেন আদালত সড়কের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি-এর কারণ জানতে চেয়ে সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মো. জোবায়ের, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সালাম চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম ও সাতকানিয়া থানার ওসি মো.আনোয়ার হোসেন এবং ৭ জন অস্থায়ী দোকানিসহ ১১ জনকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাদি পক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী কচির বলেন, আদালত সড়কের উপর অবৈধ দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা সরানোর জন্য সাতকানিয়া আদালতের নাজিরের দায়েরকৃত মামলায় ৪ জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা এবং ৭জন দোকানিসহ ১১জনকে শো-কজ করেছে আদালত। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকরের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মো. জোবায়ের বলেন, আদালতের আদেশের খবরে আমি, ইউএনও ও ওসির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। শীঘ্রই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে হাসিলের নামে টাকা আদায়ের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।