সাংবাদিকসহ আহত ৭
নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ :
চন্দনাইশের দোহাজারীতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নব-নির্বাচিত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দীনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের দু’পক্ষের মারামারিতে সাংবাদিকসহ ৭ জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলাকালে একটি মিছিল আসাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এসময় মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম- ১৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ । যুবলীগের সংবর্ধনা শুরু হওয়ার পর যুবলীগ নেতা লোকমান হাকিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশে প্রবেশ করার সাথে সাথে প্রতিপক্ষের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে হাতাহাতি, চেয়ার চোড়াচুড়িতে ৩ সাংবাদিকসহ ৭ জনের অধিক আহত হয়। আহতদের মধ্যে উপজেলার জামিজুরী এলাকার আমানত উল্লাহর ছেলে আলাউদ্দিন (৩০), দোহাজারীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে পাবেল (২০), সাংবাদিক যথাক্রমে আবু তালেব আনসারী, এমএ রাজ্জাক রাজ, নাসির উদ্দিন আহত হয়। আহতদেরকে দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে চন্দনাইশ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করে তারা আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন না। তারা জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্যই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এরকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশের প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন তিনি। প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর- ৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, যুবলীগ করতে হলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও রংবাজি বন্ধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করতে হবে। বাংলাদেশে কোন এমপি বা কোন মন্ত্রীর সুপারিশে যুবলীগ নেতা হওয়া যাবেনা। যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হবে আসল সিদ্ধান্ত। আবদুল শুক্কুরের সভাপতিত্বে ও এম. বাবর আলী ইনু এবং আবদুল্লাহ আল নোমান বেগের সঞ্চালনায় দোহাজারী সিটি সেন্টার চত্বরে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজাহারুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথি চৌধুরী, বশির উদ্দিন মুরাদ, মো. তৌহিদুল আলম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, লোকমান হাকিম প্রমুখ।