সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম রেঞ্জের নতুন ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। ২০২০ সালে তিনি পুলিশ সুপার থেকে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদোন্নতি নিয়ে চট্টগ্রাম ছাড়েন।
গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। এতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেনকে পুলিশ সদর দফতরে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনের সই করেন উপসচিব সিরাজাম মুনিরা। খবর ঢাকা মেইলের।
এছাড়া বদলি হওয়া অন্য কর্মকর্তারা হলেন অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামানকে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার, শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দারকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক, বিশেষ শাখার (এসবি) উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল ফয়েজকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে বিশেষ শাখার (এসবি) উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক ও শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক জিহাদুল কবিরকে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের তথ্যমতে, নুরে আলম মিনা চট্টগ্রামে এসপি থাকাকালীন ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ সীতাকু-ে মৃত্যু পরোয়ানা না করে দেশে প্রথম জঙ্গি বিরোধী অভিযান অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন এর নেতৃত্ব দেন। অভিযানে জঙ্গিদের ছোড়া বোমা ও গ্রেনেডে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। সেবার তিনি জঙ্গি আস্তানা থেকে ২১ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
টানা চারদিন ধরে চলা ওই অভিযানে সুইসাইডাল ভেস্ট শরীরে বেঁধে জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয় ১০টি গ্রেনেড, ৩টি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৩২টি গ্রেনেড তৈরীর ডাইস, ২৮টি গ্রেনেড তৈরি ডাইসের ঢাকনাসহ বিপুল বিস্ফোরক সরঞ্জাম।