বদরখালীর আজমনগর মাদ্রাসা
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া
চকরিয়া উপজেলার বদরখালী আজমনগর মাদ্রাসার সুপার, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া নিয়োগে কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ৬ লাখ টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোহাম্মদ ওসমানুর রহমান চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি অনিয়মের মাধ্যমে সভাপতি হলেও ওই পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছেন অভিভাবক সদস্য ওসমানুর রহমান। এ সংক্রান্ত কক্সবাজার দ্বিতীয় জজ আদালতে একটি মামলা বিচারধীন থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বিধিলঙ্ঘনের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে কর্মচারী নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা বোর্ডের মহাপরিচালক ও পরিচালক প্রশাসন বরাবরে লিখিত অভিযোগও পাঠিয়েছেন ওসমানুর রহমান। অভিযোগে মোহাম্মদ ওসমানুর রহমান বলেন, বদরখালী আজমনগর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচনে বিভিন্নধরনের অনিয়মে জড়ান এসএম নুরুল আমিন। ওই পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কক্সবাজার দ্বিতীয় জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। নুরুল আমিন মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বিধিলঙ্ঘনের মাধ্যমে মাদ্রাসার সুপার, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া নিয়োগ কার্যক্রমসহ সবধরনের দাপ্তরিক কাজ দেখভালের জন্য মহাপরিচালক অফিস আদেশের মাধ্যমে শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শক ড.আবুল কালাম আজাদকে নিযুক্ত করেন।সভাপতি পদে থাকা অবৈধ হলেও নুরুল আমিন তিনজন প্রার্থীর কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। অথচ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের ৮ নম্বর কলামে উল্লেখ আছে, নিয়োগযোগ্য পদ ও কমিটি নিয়ে কোন মামলা থাকলে সংশ্লিষ্ট পদে সুপারিশ করা যাবেনা। এই বিধিলঙ্ঘনের মাধ্যমে নিয়োগে সুপারিশ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে নুরুল আমিন।মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শক ড.আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক মহোদয় আমাকে বদরখালী আজমনগর মাদ্রাসার সব দাপ্তরিক কাজ দেখভালের জন্য নিযুক্ত করেছেন। কাজেই নিয়োগ থেকে শুরু করে সবকাজে আমাকে জানাতে হবে। তিনি বলেন, কমিটি সংক্রান্ত যে মামলা আছে, সেটি আমাকে জানানো হয়নি। তবে একটি কথা হচ্ছে, সভাপতি হিসেবে তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে স্বাক্ষর দিতে পারলে অন্য কার্যক্রম গুলো কেন করতে পারবেনা। তারপরও বিষয়ের আলোকে যখন অভিযোগ উঠেছে, তাই দেখেশুনে ব্যবস্থা নেব।