বেড়িবাঁধের উন্নয়নকাজে বাধা
নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :
আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বানুরহাট এলাকার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উন্নয়নকাজের জন্য নিয়ে আসা এস্কেভেটর গাড়িতে রাতের অন্ধকারে আগুনে পুড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনা বুধবার এস.এ.এস.আই অ্যান্ড ইসরাত এন্টারপ্রাইজ জেভি সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. আমিরুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেড়িবাঁধ উন্নয়নকাজের জন্য দায়িত্বরত এসও ফারাইুজল ইসলামের নির্দেশে গত ২০ সেপ্টেম্বর কাজ করার জন্য এ এস্কেভেটর নিয়ে আসা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু করার কথা থাকলেও ২১ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় দুস্কৃতিকারীরা সাইটের এস্কেভেটরটি পেট্রোল দিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়।গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বানুরহাট এলাকার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উন্নয়নকাজে মাটি কাটার জন্য নিয়ে আসা হয় একটি এস্কেভেটর গাড়ি। মঙ্গলবার সকাল থেকে মাটিকাটার কথাও ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজটি এস.এ.এস.আই এন্ড ইসরাত এন্টারপ্রাইজ জেভি ঠিকাদারী নেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মামুন জানান, জানতে পারি শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ কাদের, বর্তমান ইউপি সদস্য বদিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হারুন, আনোয়ার ইসলামের ছেলে দিদারুল আলম, মোহাম্মদ মিন্টু, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আলম আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে জানতে পারি। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুর রহমান বাবু বলেন, যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তারা ঠিকাদার মোজাম্মেলের কাছ থেকেও চাঁদা চেয়েছে। হুমকিও দিয়েছে তারা। চাঁদা না দেওয়ায় গাড়িতে আগুন দিয়েছে। আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশের বাড়ির মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার স্ত্রী রিনা আকতার নিজে দেখেছে। আমরা এসে তাদের ধাওয়াও করেছি। সাব ঠিকাদার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, কাজটি নেওয়ার পর থেকে তারা আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছে। তাদের চাঁদা না দেওয়ায় রাতে এসে এস্কেভেটরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ হারুন বলেন, স্থানীয়রা আমার বিরুদ্ধে যেসব কথা বলছেন সবই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র। অনেক বছর আগে আমি ও মামুন ঠিকাদারি কাজ ছেড়ে দিয়েছি। গত যে ঘটনাটি ঘটছে এসব আমি কিছুই জানি না। ঠিকাদার মোজাম্মেল ও তার সিন্ডিকেটের সাথে আমার পারিবারিক শত্রুতা ছিলো। এর জেরে তারা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এঘটনায় এসএএসআই অ্যান্ড ইসরাত এন্টারপ্রাইজ জেভি সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আনোয়ারা বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ করার জন্য আমাদের কোম্পানির এস্কেভেটরটি নিয়ে আসে। এঘটনায় আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি। এবিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।