সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচলে দুর্ভোগ

লালখান বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক »

নগরীতে নতুন দুর্যোগ গাছ উপড়ে পড়া। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টিতে পাহাড়ধস কিংবা জলাবদ্ধতার সাথে নগরবাসী পরিচিত থাকলেও গত কিছুদিন ধরে গাছ উপড়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে যান চলাচল।

গতকাল হালকা বৃষ্টিতে লালখান বাজার এলাকায় পাহাড়ের শিরীষ গাছ উপড়ে পড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে টাইগারপাস, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, সিআরবি, স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। এর আগে গত সপ্তাহে ইউএসটিসির গাছ উপড়ে পড়ে জাকির হোসেন রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছিল এবং আসকার দীঘি ইস্পাহানী হিলেও গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল।

বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাইগারপাস এলাকায় দীর্ঘ যানজট। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, লালখান বাজার ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি ও সিটি করপোরেশনের অফিস গলির মধ্যবর্তী এলাকার পাহাড় থেকে একটি গাছ রাস্তার উপর উপড়ে পড়ে। এতে একটি রিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্য কোনো যানবাহন না থাকায় বড় কোনো অঘটন ঘটেনি। তবে গাছ পড়ে যাওয়ায় রাস্তার উভয় অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৫টার দিকে গাছ পড়লেও গাছের ডালপালা কেটে গাছটি অপসারণ করে রাস্তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা গেছে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে। এই দীর্ঘ সময়ে লালখানবাজার ও টাইগারপাস কেন্দ্রীক আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা যায়।

এদিকে সড়কে উপচে পড়া গাছ অপসারণে কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতায় গাছের নিচের মাটি অপসারণ করায় গাছটি বৃষ্টিতে উপড়ে পড়েছে। গাছের নিচের অংশে মাটি ছিল না। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা যান চলাচলের উপযোগী করতে কাজ করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ইদানিং নগরীর অনেক পাহাড় থেকে এভাবে গাছ উপচে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এতে নগরীতে নতুন দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। তবে যানবাহনের উপর এসব গাছ পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটার শঙ্কা বাড়ছে।

উল্লেখ্য, নগরীতে গাছ পড়ে মানুষ মৃত্যুর ঘটনাও কিন্তু কম নয়। বছর পাঁচেক আগে পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা গেটের সামনে একটি বড় গাছে সিএনজি টেক্সি চাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া নগরীর সার্সন রোডেও গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। টানা বর্ষণ হলে পাহাড়ের বালি মাটি নরম হয়ে যায় বলে পাহাড়ের ঢালের গাছগুলো উপচে পড়ে।