নিজস্ব প্রতিবেদক »
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে আমরা কাজ করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
ভূমি কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি অফিসারদের কাছে গেলে প্রত্যেক সেবাগ্রহীতা নাগরিককে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। এক অফিস থেকে অন্য অফিসে না ঘুরিয়ে সমস্যা সুন্দর করে সমাধান করবেন। কোনভাবেই নাগরিকদের সঙ্গে অসদাচরণ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, আপনারা নাগরিকের সেবক। নাগরিকের টাকায় আপনাদের বেতন-ভাতা হয়।
বুধবার সকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশের জিমনেশিয়াম ফিল্ডে ভূমি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ : স্মার্ট ভূমিসেবা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেছেন দেশে একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। তিনি তার কথা রেখেছেন। চট্টগ্রামকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নদী সংরক্ষণ করতে হবে। কোনভাবেই নদী বা নদীর আশপাশ ভরাট করা যাবে না। আমরা এসব বিষয় নজদারিতে রেখেছি। আমাদের পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণ করতে হবে। কৃষি জমির শ্রেণি কোনভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। ফসলি জমি ও কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন কঠোরভাবে রোধ করতে হবে। যেভাবে কৃষি জমি চলে যাচ্ছে, ৫০ থেকে ৭০ বছর পর আর কোনও কৃষি জমি থাকবে না। তাই আমাদের সজাগ হতে হবে। কোনভাবেই যাতে মাটি ভরাট করে কৃষি ও ফসলি জমি নষ্ট করা না হয়।
মন্ত্রী বলেন, সিভিল মামলায় গেলে সে পরিবার একেবারেই শেষ হয়ে যায়। তার বাবা ছেলেকে, ছেলে তার ছেলেকে এ মামলা দিয়ে যায়। এতে কোন সমাধান হয় না। উল্টো টাকা-পয়সা হারিয়ে পথে বসতে হয়। তাই আমাদের ভূমি আইন সম্পর্কে জানতে হবে। জটিল বিষয় সমাধানের দিকে আসতে হবে। একে অপরকে ছাড় দিতে হবে। এ মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ভূমি সপ্তাহ উদযাপন করেই বসে থাকলে চলবে না। সব অফিসেই আমাদের সারাবছর ভূমি সংক্রান্ত ভূমিসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। আমরা জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়েও ভূমি সংক্রান্ত সকল বিষয় হাতে-কলমে শেখাতে চাই। অনলাইনে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজ করার ব্যবস্থা আমরা করেছি। একজন গ্রাহক ঘরে বসেই ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা নিতে পারবে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুধু ভূমি বা জমির মালিক হলেই হবে না। সেটির বৈধ মালিকানা থাকতে হবে। মামলা জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে যে পরিমাণ জমির দাম তার চেয়ে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে জমিটি উদ্ধার করতে। যার কারণে তৈরি হচ্ছে মানসিক অশান্তি। আমাদের ভূমি সংক্রান্ত আইন জানতে হবে এবং সে আইন মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা অনলাইনে নিয়ে এসেছেন। স্মার্ট ভূমিসেবা নিশ্চিত করেছেন। ঘরে বসেই এখন ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজ করা যাচ্ছে। সেবাগ্রহীতারা হয়রানিমুক্ত ভূমিসেবা পাচ্ছেন।