সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ বছরের খরা কাটানো বাংলাদেশ এখন সিডনিতে। এখানকার সিডনি ক্রিকেট গাউন্ডে তাদের পরবর্তী ম্যাচ। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। যে দলটির বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এখন অব্দি কোনও জয় নেই লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। এমন একটি দলের বিপক্ষে অচেনা মাঠে বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করা কঠিন।
তার পরেও বাংলাদেশ যেহেতু অতীত ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার মিশন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পা দিয়েছে। দলগুলোকে নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেসবের কিছুই জানাতে চান না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব তেমনটাই জানিয়ে গেছেন। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলে সবকটি হেরেছে বাংলাদেশ। সবশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল। সিডনিতে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ সাকিবদের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের দুর্বলতা ও শক্তির জায়গা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধিনায়ক বলেছেন, ‘এসব জানাতে চাই না। তাহলে তো বলে দেওয়া হয়ে গেলো আমার দুর্বলতা কোথায়। সব জায়গায় উন্নতির জায়গা রয়েছে, আসলে উন্নতির তো শেষ নাই। মানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জ্ঞানের যেমন শেষ নেই, উন্নতিরও শেষ নেই।’
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে বেশ নির্ভারই দেখা গেলো সাকিবকে। তাই বলে প্রোটিয়াদের হালকা ভাবে নিচ্ছেন সেটিও নয়। তিনি মনে করেন এই ম্যাচেও তাসকিনের মতো বীরত্ব দেখাতে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে যাবে, ‘দেখুন টি-টোয়েন্টি আসলে মোমেন্টামের খেলা। সো মোমেন্টাম ধরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে সাধারণত ওয়ানডেতে পারফর্মারের সংখ্যাটা বেশি। টি-টোয়েন্টিতে অত বেশি সুযোগ নেই, কম পারফর্মার থাকবে। কিন্তু ওদের পারফরম্যান্স একটু বড় হতে হয়। সো আমি এটা আশা করছি, কাল আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ। যে এগারো জন খেলবে তার মধ্যে থেকে কারো একজনের হিরো হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে খুব সহজে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে ভুগতে হয়েছে। তবে আগের ম্যাচের ভুল শুধরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে আশাবাদী সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বললাম যে ওপেনারদের সুযোগ আছে ২০ ওভার ব্যাটিং করার, কেন তারা করতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি তারা করতে পারবে। কিংবা আমাদের বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে, কেন আমরা ১০ উইকেট নিতে পারবো না। সো আমাদের মাইন্ডসেটটাই থাকবে ওরকম। আমরা খোলা মনে যেতে চাই, উপভোগ করতে চাই, আক্রামণাত্মক থাকতে চাই। অবশ্যই এক্সাইটিং ক্রিকেট খেলা আমাদের লক্ষ্য। দিন শেষে হাসি মুখে ফিরে আসতে চাই।’
সাকিবের শেষ কথাটাই ভক্তদের তৃপ্ত করতে পারে। দিন শেসে হাসিমুখ মানেই তো জয়। তাহলে কি সাকিবরা অতীয় ইতিহাস পাল্টে দিতে বদ্ধপরিকর? সেটি হলেতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের নবজাগরণ শুরু হলো বলে!