পটিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে মুখ্যসচিব
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
‘পরম মমতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিয়েছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের পায়ের তলায় মাটি ও মাথার উপর ছাদ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের সঙ্গে থাকতে পেরে ভাগ্যবান। ধনি-দরিদ্র এক কাতারে থেকে বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন করবো।’
গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নাকি কেউ কেউ বিক্রি করে দিয়েছেন। তা কি সত্য? জবাবে উপকারভোগীরা সত্য নয় বলে জবাব দেন। যেসব ঘর দেওয়া হয়েছে এতে কারো কোন একআনা পয়সা খরচ হয়নি। ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে স্বনির্ভর হতে পরামর্শ দেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের সাগরিকা, দেবশ্রী দেবু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মারুফ উল্লাহ মারুফ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হাসান, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম জসিম।
সভায় তৃতীয় লিঙ্গের সাগরিকা বলেন, অন্য কোন সরকার তৃতীয় লিঙ্গের পাশে দাঁড়াননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে তারা সুন্দর জীবন পেয়েছেন। তাদের ঘর, কবরস্থান ও অন্য ধর্মের মানুষের জন্য মন্দির নির্মাণ করে দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা করতে চেয়েছিলেন। এখন তা হয়েছে। সারা দেশে ৫ লাখ তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) লোক রয়েছে। জায়গাসহ ঘর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন্য কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য, আশ্রয়ণ প্রকল্পে পটিয়ায় নির্মাণাধীন ঘরের মান যাচাইয়ে মুখ্যসচিব হাতুড়ি দিয়ে ইট ভেঙে দেখেন। তবে কাজের মান ঠিক ছিল বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পটিয়ায় প্রথম ধাপে দুই শতাধিক ও বর্তমানে আরো ৯৫টি নতুন ঘর নির্মাণকাজ চলছে।