প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে দেশরতœ শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চারদিন ব্যাপী ‘অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসে ঘৃণ্যতম দিন। এই দিনটিতে কতিপয় মানুষ নামের অযোগ্যÑনরপশু জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করেছে। এই মানুষগুলো এতই ঘৃণ্য যে, তারা কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছে তাঁর নবপরিণিতা পুত্রবধূকে, এমনকি শিশু রাসেলকে। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের কা-ারি হিসেবে পেতে সক্ষম হয়েছে। ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬.৩০টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়ের ক্যাম্পাসে ‘অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রফেসর ড. অনুপম সেন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন তাঁর বক্তব্যে ‘শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে বারবার সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে’ উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার অনেক আগেই যখন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, সেই সময়ে ১৯৮৮ সালের ২৪শে জানুয়ারি তাঁকে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। কারণ, তিনি সেই সময়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সপক্ষে জনগণের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষাকে রূপ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের এক সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন। জনগণ মানবব্যুহ রচনা করে তাঁকে রক্ষা করেছিল। ২২ জন আত্মবিসর্জন দিয়েছিলেন। তারপর ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট তাঁর উপর নেমে এসেছিল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, যাতে তিনি ১৯৯৬ সালের মতো আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে না পারেন।
ড. সেন ১৯৯৬-২০০১ কালপর্বের দেশরতœ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে বলেন, এই কালপর্বের শেখ হাসিনা সরকারের দু’টি অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একটি হলো পার্বত্য শান্তিচুক্তি, অপরটি হলো ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত গঙ্গা পানিবন্টনচুক্তি। এই ধরনের চুক্তির জন্য বিশ্বের অনেক নেতাই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। পার্বত্য শান্তিচুক্তিটি এমন একটি অসাধারণ চুক্তি, যার জন্য শেখ হাসিনাও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন, তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল। শেখ হাসিনার শাসনকালÑইংল্যান্ডের রাণী প্রথম এলিজাবেথের মতো আজ থেকে ৫০০ বছর পরেও বাঙালির ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাচ্ছে।
উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, উপাচার্যের উপদেষ্টা ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো. আবু তাহের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিমসহ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর