নিজস্ব প্রতিবেদক »
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত কোকেন জব্দে চোরাচালান আইনের ধারার মামলায় তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এ বিষয় নিশ্চিত করে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আজ (বুধবার) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক এবং তৎকালীন সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন চোরাচালান মামলায় সাক্ষ্য দেন। তারা তিনজন একই সময় মাদক আইনের ধারাতেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মাদক আইনের ধারায় ২৫ জন এবং চোরাচালানের ধারায় ৩ জন সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন।’
জানা গেছে, তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক মশিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন। ঘটনায় জড়িত আতিকুর রহমান, মোস্তফা কামাল ও একেএম আজাদকে আটক করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের নিকট হস্তান্তর বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন তারা। তাছাড়া তৎকালীন সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজ ও জাহাজ থেকে কোকেনের কনটেইনার নামানোর ডকুমেন্ট জব্দ তালিকা বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের একটি চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। সেই তেলের চালানে উল্লেখ ১০৭ ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামে কোকেনের নমুনা পাওয়া যায়। একই বছরের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ২০২০ সালের ২৫ জুন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় চোরাচালান মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন র্যাব-৭ এর তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী। তিনি মামলাটি তদন্ত করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলার চার্জগঠন করা হয়। এতে ১০ জনের বিচার শুরু হয়। এরা হচ্ছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মালিক মোস্তফা কামাল, গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক একেএম আজাদ রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ, নূর মোহাম্মদের ভাই ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।