মহান মুক্তিযুুদ্ধে কবিতা প্রেরণা যুগিয়েছে

একুশে বইমেলায় জেলা প্রশাসক

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, কবিতা মানুষকে সুন্দরের পথে নিয়ে যায়। কবিতার ভিতর দিয়ে মানবজাতির বিবর্তনের ইতিহাস জানা যায়। কবিতার জন্য সবচেয়ে বড় কথা হলো কবিতাকে মানুষের হৃদয়ের কাছে নিয়ে যাওয়া, তবেই কবিতা বেঁচে থাকে। তিনি বলেন, কবিতা মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। কবিতা মানুষের মাঝে সংগ্রাম, ভালবাসা, স্বপ্ন, শান্তি ও কল্যাণ এবং শ্রেয়োবোধ উজ্জীবিত করে। এখানেই কবি ও কবিতার সার্থকতা।
গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে অমর একুশে বইমেলায় কবি সম্মিলন ও কবিতা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কবি-সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামলের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক কবি ফাউজুল কবির। আরও বক্তব্য রাখেন বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও সলিম উল্লাহ বাচ্চু।
কবি অধ্যাপক ফাউজুল কবির বলেন, বাঙালির আন্দোলন সংগ্রামের শানিত হাতিয়ার হয়েছে কবিতা। দ্রোহের সঙ্গে শান্তির বারতাও বহন করে চলেছে কবিতা। কবিতাই হলো মানব জাতির ভবিষ্যতের প্রেরণা। ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামের কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরীর ‘কাঁদতে আসেনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ শীর্ষক কবিতাটি ভাষা আন্দোলনের এক অনবদ্য রচনা, যা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।
স্বাগত বক্তব্যে চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, আমরা বাঙালি, আমাদের চিন্তা-চেতনায়, ভাষা, সাহিত্যে সংস্কৃতি সবসময় ঐতিহাসিকভাবে জড়িত। কবিতার মধ্য দিয়ে আমরা স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। বিজ্ঞপ্তি