বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বড় বড় সমাবেশে সরকার বাধা দেওয়ার সাহস করে না। ছোট ছোট সমাবেশে তারা বাধা দেয়। তাই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে নামতে হবে। বড় সমাবেশে যারা বাধা দিবে, তাদেরকেও প্রতিরোধের সন্মূখীন হতে হবে। সবখানে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে এক নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে তিনি একথা বলেন।
তিনি শুক্রবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, কিছু কিছু আওয়ামী লীগ নেতা বলছেন বিএনপি লাঠি নিয়ে বের হয়েছে। আপনারা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে বিএনপির কর্মীকে হত্যা করবেন, অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে কোপাবেন। চাইনিজ রাইফেল দিয়ে মানুষ মারবেন, বিএনপি নেতার বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করবেন। তাহলে নিজেকে রক্ষার জন্য একটা লাঠিও রাখতে পারবো না ?
আমীর খসরু বলেন, আমার সংবিধান আমাকে অধিকার দিয়েছে নিজেকে বাঁচানোর জন্য। আগামী ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের গণসমাবেশে লাঠির প্রয়োজন হবে না। লাখ লাখ মানুষ যখন নামবে, এরা পালাবে। যারা রাস্তায় আক্রমণ করে, তারা বড় সমাবেশ দেখে এমনিতে পালাবে। সুতরাং লাঠিও রাখতে হবে না। কয়েকবছর আগে পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে ২০ লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। স্কুলের ছাত্ররা জমায়েত হয়েছিল। আমাদের সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। লাঠিসোঁটা তাদেরই প্রয়োজন যাদের সঙ্গে জনগণ নেই।
খসরু বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে দেশের সবখানে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তবে যে সমাবেশে সংখ্যায় কম কর্মী ওইসব জায়গায় বেশি বাধা দিয়েছে। ঢাকা শহরের বড় বড় সমাবেশে পুলিশ বাধা দিতে পারেনি। সুতরাং বিশাল সমাবেশ করুন, মাঠে নামুন পুলিশও আপনাদের সঙ্গে দাঁড়াবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের তর্জন গর্জনের দরকার হবে না। আমাদের গর্জন হবে কাজের মধ্যে দিয়ে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ হবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ। চট্টগ্রামের নেতারা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে চট্টগ্রাম থেকেই সরকারের পতন হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলনেতা মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, জয়নাল আবেদীন ভিপি, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, ড. সুকোমল বড়ুয়া, এস এম ফজলুল হক, ড. মামুন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ম্যা মা চিং, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশিদ, সহ বাণিজ্য সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ ধর্ম সম্পাদক এড. দীপেন দেওয়ান, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, লক্ষীপুরের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সাবু, ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙামাটি জেলার সভাপতি দীপেন তালুকদার দীপু, বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, সাচিং প্রু জেরী, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, মশিয়ুর রহমান বিপ্লব, এবিএম জাকারিয়া, ফোরকান ই আলম, নোয়াখালী জেলার সাধারন সম্পাদক আবদুর রহমান, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড. মামুনুর রশীদ মামুন, লক্ষিপুর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এড. হাসিবুর রহমান হাসিব, বিএনপি নেতা এনামুল হক এনাম, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তুষার, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু। বিজ্ঞপ্তি