৭ অক্টোবর জুমাবার সকালে বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের উদ্যোগে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ধনিয়ালাপাড়া বায়তুশ কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিবসে সভাপতির বক্তব্যে রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী মজিআ বলেন, পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) মুসলিম মননে সহনশীলত, হৃদ্যতা, সম্প্রীতি, পারস্পরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সৃষ্টিতে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। মহানবীর আগমন ছিল সকল সৃষ্টির জন্য রহমত, বরকত ও মহানন্দের। পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আরো বলেন, আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবিবকে মহিমান্বিত করেছেন আকাশে বাতাসে তাঁর গুণগান ছড়িয়ে, তাঁর স্মরণকে সমুন্নত করেছেন কোরআনের বাণী দিয়ে, নন্দিত করেছেন আরশে আজিমে আমন্ত্রণ জানিয়ে, গৌরবান্বিত করেছেন সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত দিয়ে। তিনি বলেন, যুগে যুগে নবীপ্রেমিকরা মহানবী (সাঃ) এর শানে হামদ-নাত রচনা করে ভালোবাসার বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে আসছেন। বায়তুশ শরফও সেই ধারা ধরে রাখার নিমিত্তে প্রতিবছর মিলাদুন্নবী (সাঃ) কর্মসূচিতে শানে মোস্তাফা (সাঃ) মাহফিল সংযোজন করেছে। দ্বিতীয় দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ধর্ম ও কর্মের সমন্বয়ে একজন মানুষকে খাঁটি মুমিন মুসলমান রূপে গড়ে তোলা, তরিকতের অনুসৃত পন্থায় মানবীয় গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক বলে বলিয়ান করা-ই বায়তুশ শরফের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, বায়তুশ শরফের মরহুম পীর আল্লামা শাহ মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ:) আমাকে অনেক স্নেহ করতেন এবং আমিও উনাকে অনেক সম্মান করতাম।তিনি তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞা, অতুলনীয় কর্মশক্তি, ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক মাধুর্যতা দ্বারা সমসাময়িক আলেম ওলামাসহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন এবং বায়তুশ শরফকে দাঁড় করেছেন জাতিভিত্তিক একটি আধ্যাত্মিক ও সেবামূলক বিশাল প্রতিষ্ঠান রূপে।
শুদ্ধচারিতার নীরব সংগ্রামে তিনি ছিলেন একজন সাহসী সৈনিক। তাঁর চিন্তায় প্রখরতা ছিল। জ্ঞান গরিমায় ছিল বৈচিত্র্য। রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি.আ প্রধান অতিথি সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে বায়তুশ শরফের পক্ষ হতে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, সহ-সভাপতি রাশেদুল আলম খোরশেদ, মজলিসুল উলামার মহাসচিব ও অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, যুগ্ম আহবায়ক হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, আঞ্জমনে ইত্তেহাদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুন শেঠ, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। দ্বিতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাজী মাওলানা শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
আজকের অনুষ্ঠানমালা : ৮ অক্টোবর তৃতীয় দিবস বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে গুণীজন সংবর্ধনা। বিজ্ঞপ্তি