সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের চাওয়া হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। সকলকে সর্তকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে আইনি বাধ্যবাধকতার জন্য এই উপনির্বাচন করতে হচ্ছে। এটি আমাদের মহড়ার মতো হয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব না ভোটার আনা। প্রার্থীরা ভোটারদেরকে উপস্থিত করাবে।
গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত চট্টগ্রাম-১০ শূন্য আসনের নির্বাচন-২০২৩ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখন যেসব নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকার অন্যতম কারণ হলো- এগুলো জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে হচ্ছে। চার-পাঁচ মাসের মতো সময় থাকবে বলে হয়তো অনাগ্রহের কারণ থাকতে পারে। এরপরও যতটুকু ভোট কাস্ট হবে , তার উপরেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’
ইভিএমে ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজনে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগে ভোট ডাকাত নামে একটা শব্দ প্রচলিত ছিল। কিন্তু এখন সেটি নেই। ভোটার ছাড়া ভোট কেন্দ্রে কেউ প্রবেশ করার সুযোগ নেই। চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে রয়েছে। এরপরও আরও তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।’
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হামলা-মামলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো ঘটনাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সেজন্য আমরা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাড়াবো। কিছুদিন আগে যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে সেটিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে। চট্টগ্রামের এ উপনির্বাচনে এখনো আমরা কারো থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।’
হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অনাকাক্সিক্ষত। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এটি নিয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
নতুন দুটি দল নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে দুটি দলকে নিবন্ধনের সুপারিশ করা হয়। এটাই আমরা বলছি। ২৬ তারিখের মধ্যে যদি কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে আমরা বিষয়টি আমরা দেখবো। অভিযোগ থাকলে সেটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হবে।