নিজস্ব প্রতিবেদক »
মধ্যপ্রাচ্যে মরুর বুকে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে আর বাকি মাত্র ১২ দিন। উত্তেজনা ছড়িয়েছে সারাবিশ্বে। বিশ্বকাপকে ঘিরে বাংলদেশে জোরসরে প্রস্তুতি চলছে। নগরী সাজছে রং-বেরঙের সাজে। চট্টগ্রাম নগরীর দোকাগুলোতে জার্সি ও পতাকা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
গতকাল নিউমার্কেট এলাকায় রিয়াজউদ্দীন বাজারের গাজী টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স, এম, কে সুপার কমপ্লেক্স, হকার মার্কেট এবং অস্থায়ী দোকানেগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, জার্সি, পতাকা দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন মালিকরা। সেখানে শিশু, কিশোর, তরুণ, তরুণীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কাপড় বাছাই করে প্রিয় দলের জার্সি সংগ্রহ করছেন তারা। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানির জার্সির বিক্রি বেশি। কোন জার্সির দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৯০ টাকা, ২৫০ টাকা, কোনটা ৩০০ টাকা, কলারসহ নিলে গুনে হবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে পরিমাণে বেশি নিলে বিশাল ছাড় দিচ্ছেন দোকানিরা।
সেই সাথে জার্সিগুলোতে নিজের নামও লেখার সুযোগ রয়েছে। তার জন্য গুনতে হবে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। বিদ্যুৎ থাকা অবস্থায় ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে নাম লেখা যায়।
জার্সি নিতে আসা বাকলিয়া গভর্মেন্ট হাই স্কুলের সিদ্দিক, সাদমান, কলিন জানান, প্রাইভেট পড়া শেষ করে মার্কেটে এসেছি। আর্জেন্টিনা দল সাপোর্ট করি। ৩টা জার্সি নিলাম ৬৫০ টাকায়। এবার বেশি দামে হচ্ছে। আগে অনেক কম টাকায় নিয়েছিলাম।
এদিকে কাজীর দেউরী এম আজীজ স্টেডিয়ামের দোকানগুলোতে একটা জার্সি নিতে দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। কোন কোন দোকানে দাম নির্ধারণ করা আছে। কমানোর কোন উপায় নেই।
জার্সির সাথে অলিতে-গলিতে পতাকা বিক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। তেমনই একজন এনামুল হক। পড়াশোনার পাশাপাশি নেমেছেন পতাকা বিক্রির কাজে। প্রায় সারাদিন জামালখান, চেরাগী, আন্দরকিল্লা, কাজীর দেউরী, লালখানবাজার, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট পতাকা বিক্রি করেন। ৩ নভেম্বর থেকে নেমেছেন।
তিনি বলেন, আমি পড়ি, সেই সাথে পর্দার দোকানে সেলাইয়ের কাজ করি। সে দোকানে এখন সারারাত পতাকা সেলাই করি। ভোর দিকে ঘুম দিয়ে, বিকেল নাগাদ পতাকা বিক্রি করতে নেমে পড়ি। প্রথম দিকে বিক্রি কম ছিলো। এখন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার মতো পতাকা বিক্রি হয়।
মোহছেন আউলিয়া স্পোর্টসের কর্ণধার মো. ফরহাদ বলেন, আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বেচাকেনা বাড়ছে জার্সির। তবে মাত্র তো শুরু। সামনে আরও বাড়বে। প্রতিদিন ৫০-৬০ পিস খুচরা বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে পাইকারি ১০০ থেকে ২০০ পিস যাচ্ছে।