নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে।
সোমবার দুপুর ২ টার দিকে জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে এই দুই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় আসামিদের মধ্যে ২৮ জন পুলিশ সদস্য এবং অন্য ৩ জন টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা। এটিসহ এ পর্যন্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে ১০ টি হত্যার অভিযোগ দায়ের হল।
৭ সেপ্টেম্বর সোমবার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার মৃত নুর আহম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম বাদি হয়ে একটি এবং একই ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকার ছালে আহম্মদের স্ত্রী বাদি হয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদি লাইলা বেগমের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ সকালে তার স্বামী নুর আহম্মদকে টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে পুলিশ তুলে থানায় নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে ছেড়ে দিতে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পুলিশকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার পরও বাকি টাকা না দেয়ায় ওইদিন রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রাজারছড়া এলাকায় নিয়ে নুর আহম্মদকে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে হত্যা করে।
এ ঘটনায় দায়ের মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় দায়ের মামলার নথিপত্র আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদির আইনজীবী মোস্তাক আহমদ।
অন্যদিকে বাদি হালিমা খাতুনের আইনজীবী নুরুল হোসাইন নাহিদ বলেন, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর পুলিশ মোহাম্মদ আজিজকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার পরিবারের লোকজনের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা দেয়ার পরও ওইদিন রাতে মহেশখালিয়া পাড়া সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মামলাটি আমলে নিয়ে ১২ দিনের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় থানায় দায়ের মামলার নথিপত্র আদালতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে বলে জানান আইনজীবী নুরুল হোসাইন।