আজকাল সবকিছু অটোমেশনে চলে যাচ্ছে। মানুষ প্রযুক্তির সাথে ওতপ্রোতোভাবে জড়িয়ে পরেছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ তাদের কাজকে সহজ করে ফেলেছে। কোথাও আগুন লাগলে সেখানে ফায়ার ফাইটার না পাঠিয়ে রোবটের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নিজেদেরও পরিবর্তন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে চিন্তা, চেতনা, কাজ সবকিছুকে স্মার্ট করতে হবে। সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের জন্য নিজেদেরও স্মার্ট হতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অংশীজনের অংশগ্রহণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলারা ইউছুপ, বাংলাদেশ বেতার শিল্পী জয়ন্তী লালা, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কাবেরী সেন গুপ্তসহ আরো অনেক গুণীজন এবং পিএইচপি ফ্যামেলির পরিচালক আমীর হোসেন সোহেলসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন অধিকারীক মো. সাইফুল ইসলাম মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে টেলিভিশনের কার্যাবলীর চিত্র সচিবের নিকট তুলে ধরেন। এ সময় তথ্য সচিব সভায় উপস্থিত সবার সাথে ভবিষ্যতে এ কেন্দ্রকে আরো কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেন।
সচিব বলেন, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে যদি ব্যবধান বেশি হয় তাহলে জীবন বিষময় হয়ে যায়। তাই প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে যাতে অবশ্যই সামঞ্জস্য থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেলিভিশনকেও এগিয়ে যেতে হবে। টেলিভিশনে আজকাল মানুষ যা দেখে সেরকম উপাদান যদি না থাকে তাহলে সেটা পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। এটি একটি চ্যালেঞ্জ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, মানসম্মত চিত্র ধারন, সময়োপযোগী অনুষ্ঠান নির্মাণ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রদর্শনের মাধ্যমে পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম টেলিভিশনে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তথ্য বিবরণী