পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বরতম সময়ে মহান আল্লাহর প্রিয়তম রাসূল (দ.) ধরার বুকে আসেন। পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন মানবিকতায়, সহমর্মিতায় ও ভালোবাসায়। নব্য জাহেলিয়াত যুগে এসে খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) অনাচারে ছেয়ে যাওয়া পৃথিবীর বুকে ছড়িয়েছেন এমন এক বৈপ্লবিক দর্শন যা সকল সময়ের মানুষের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। প্রজন্মের চিন্তাধারা বদলে দেওয়া এই দর্শনে রয়েছে নবীপ্রেমে অশ্রু ঝরানোর শিক্ষা, তাহাজ্জুদের জায়নামাজে অনুতপ্ত হওয়ার তালিম, তাওয়াজ্জুহ নিয়ে আত্মশুদ্ধির বিরল পাঠ্যক্রম, ফয়েজে কুরআনের অনন্য কার্যক্রম, এখলাসের অমূল্য নিয়ামত, ইনসাফ ও ইবাদতের গভীরে গিয়ে নিবিড় অনুশীলন, হারাম-হালালের পার্থক্য নিরুপণ করে জীবন ধারণের নির্দেশনা। আধুনিকতার উল্টো স্রোতে গিয়ে এ যেন নবীপ্রেমের মহাস্রোত।
গতকাল সোমবার বিকালে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক গাউছুল আজম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়ার মোর্শেদে আজম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, খলিফায়ে রাসূলের সমস্ত জীবনের রোনাজারির ফসল এই মহান ও মকবুল তরিক্বত। এই তরিক্বত সুন্নাতে রাসূলের অপূর্ব সমাহার। কোন বাধা-বিপত্তি কিংবা অপসংস্কৃতি এই তরিক্বতের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে না। তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলের ডানায় ভর করে খলিফায়ে রাসূলের এখলাসের সাদকায় নবী প্রেমের অনুপ্রেরণায় এই তরিক্বত হেদায়তের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাবে আরব থেকে আজমে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায়। এই তরিক্বতে অন্তর্ভুক্ত একজন সাধারণ মানুষ নিখাদ আশেকে রাসূলে পরিণত হয়। যে যুগে এসে মসজিদমুখী হওয়াটায় কঠিন সে যুগে যুবকদের দিয়ে এমন ইবাদতের জোয়ার সৃষ্টি করলেন খলিফায়ে রাসূল হযরত গাউছুল আজম (রা.)। এ যেন আঁধারের মাঝে নতুন আলোর সুসংবাদ, নবীপ্রেমের অভূতপূর্ব জাগরণ, হেদায়তময় আলোড়ন।
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গাউছুল আজম কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ নুর খান, মহানগর ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমেদ, নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী প্রমুখ।
প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলওয়ার হোসেন খাঁন প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রকিব উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক।
শেষে প্রধান অতিথি প্রিয় নবীজির উসিলায় এবং খলিফায়ে রাসুল (দ.) এর এখলাসের সাদকায় দেশ জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। বিজ্ঞপ্তি