সুপ্রভাত ডেস্ক »
স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর করের হার কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার অধিক অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে এর পরিমাণ ৩০ শতাংশ।
এনবিআর—এর জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি, ১০ কোটি টাকার বেশি, ২০ কোটি টাকার বেশি এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রদেয় করের ওপর যথাক্রমে ১০, ২০, ৩০ এবং ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, একজন করদাতার ৫০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদ থাকলে, শেয়ার বাজার থেকে অর্জিত ৫০ লাখ টাকার অতিরিক্ত আয়ের ওপর তাকে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এছাড়া, প্রদেয় কর ১৫ শতাংশের ওপর ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫.২৫ শতাংশ সারচার্জসহ মোট ২০.২৫ শতাংশ কর ও সারচার্জ দিতে হবে।
তবে করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে সারচার্জের হার ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে কম হারে (১০ শতাংশ/২০ শতাংশ/৩০ শতাংশ) হতে পারে। সেক্ষেত্রে আয়কর ও সারচার্জের মোট হার নিট সম্পদের ভিত্তিতে ২০.২৫ শতাংশ থেকে আরও কম হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করছে, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাসহ অন্য সব করদাতার ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন সময়কালে (করবর্ষ: ২০২৫-২০২৬) স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর প্রদেয় আয়কর ও সারচার্জ বাবদ সর্বোচ্চ করের হার ৪০.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০.২৫ শতাংশ করায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে ।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে শেয়ার ক্রয়ের ৫ বছরের মধ্যে ওই শেয়ার ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ সময়কালে বিক্রি করে মূলধনি আয়ের ওপর সাধারণ হারে কর আরোপ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুসারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করের হার হলো ৩০ শতাংশ। খবর টিবিএস।
এছাড়া সম্পদশালী করদাতাদের প্রদেয় করের ওপর বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। এতে শেয়ার বাজার হতে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর বিদ্যমান আইন অনুসারে আয়কর ও সারচার্জ বাবদ মোট ৪০.৫০ শতাংশ কর প্রদেয় হয়।