পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার মামলা করলো পরিবেশ অধিদপ্তর। আকবরশাহ থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের লেকসিটি আবাসিক এলাকায় পাহাড় কর্তনের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। জসিমের স্ত্রীকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আকবশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলী মৌজার লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন স্পটে অনুনোমোদিত পাহাড় মোচন এবং পাহাড় কর্তন করে স্থাপনা নির্মাণের দায়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ছড়ার সন্নিকটে টিলা শ্রেণির জমির আনুমানিক ৩ শতাংশ অংশের ছোট-বড় গাছ ও ঝোপঝাড় কর্তন করে টিলা মোচন করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড় কর্তন করে একটি টিনশেড সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরসহ উক্ত স্থানে কর্তনকৃত পাহাড়ের পরিমাণ আনুমানিক ৩০০০ ঘনফুট। এছাড়া ১৩০৬.৮ বর্গফুট পাহাড় মোচন করা হয়েছে। উক্ত স্থানে গত কয়েকদিনে কর্তনকৃত তিনটি বড় বৃক্ষের গুঁড়ি দেখতে পাওয়া গেছে। পরিদর্শনে পাহাড় কর্তন ও মোচনের সত্যতা পাওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে গতকাল বুধবার শুনানিতে হাজির হবার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। শুনানিতে ওই জায়গার কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হৃদয় জানান, কর্তনকৃত ভূমির মালিক তিনি না। কর্তন করা টিলা শ্রেণির ভূমিটির প্রকৃত মালিক জহুরুল আলম জসিম এবং তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম। তিনি এর পক্ষে জমির মালিকানা খতিয়ান দাখিল করেন।
এদিকে কেয়ারটেকার থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে কাউন্সিলর জসিম ছাড়াও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এবং কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হৃদয়কে আসামি করে আকবরশাহ থানায় মামলা দায়ের করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বলেন, ‘আমার জায়গায় কোনো পাহাড় কাটার ঘটনা নেই। আম গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছিল। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমি এবং আমার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর নামে এসব করা হচ্ছে।’
আকবরশাহ থানায় মামলার কথা স্বীকার করে থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাদি হয়ে জহুরুল আলম জসিমসহ তিনজনের নামে পাহাড় কাটার দায়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছেন।’
উল্লেখ্য, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে এর আগেও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।